বয়ঃসন্ধির সময়ে স্বপ্নগুলো রঙিন, তাতে প্রাণ আছে। সবকিছুকে নতুন করে জানার আগ্রহ জীবনকে উদ্দীপিত করে। কিন্তু তাদের জীবনেই যদি নেমে আসে অকাল বিষাদ? যদি বর্ণহীন হয় তাদের রঙিন স্বপগুলো, তাহলে! গ্রামের দুই ছেলে-মেয়ে বাবলু ও গৌরীদি, তাদের সরল জীবনের রাজনৈতিক টানাপোড়েন কীভাবে সমস্ত সুর বেসুর করে দেয়, সেই গল্প বলেছেন পরিচালক তুষার বল্লভ।
পরিচালকের প্রথম ছবি 'বাকি ইতিহাস', এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানোরমা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে। ১১ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার নন্দনে দেখানো হবে এই ছবি। রাজনৈতিক ছোঁয়া থাকলেও যেভাবে বাংলা ছবিতে রাজনীতি আসে, এ ছবি তেমনটা নয়। 'বাকি ইতিহাস'-এর চরিত্রগুলোই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।
ছবির একটি দৃশ্যে কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালের মেজাজ আর কোথাও নেই: তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়
রাজনৈতিক তত্ত্ব কথার বাইরে গিয়ে প্রান্তিক মানুষের ছবি তুলে ধরেছেন পরিচালক। মেদিনীপুরের গ্রাম্য পরিবেশে এ ছবি স্বপ্ন ও আস্থা ভঙ্গের কথা বলে। ছবিতে কোনও পেশাদার অভিনেতারা কাজ করেননি। ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নন-অ্যাক্টরদের অ্যাক্টর তৈরি করেছেন তুষার বল্লভ। ছবিতে অভিনয় করেছেন- তন্ময় মজুমদার, সুরজিৎ মন্ডল, সঙ্গীতা বল্লভ, পুলকেশ ভট্টাচার্য।
ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন অনির্বাণ রায়। সিনেমাটোগ্রাফার সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সমীর আইচের আর্ট ডিরেকশনে তৈরি হয়েছে ছবি। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বেশকিছু অংশ তুলে আনা হয়েছে এই ছবিতে। তবে এখনই বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছেনা 'বাকি ইতিহাস'।