গতবছর বাংলাদেশে দূর্গামূর্তি ভাঙা নিয়ে কম বিতর্ক-সমালোচনা হয়নি। প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছিল। সেই আঁচ গড়িয়েছে এপার বাংলা অবধি। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সমাজ। সেই প্রেক্ষিতেই এবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে পদ্মাপারের নায়িকাকে কলকাতার দুই দুর্গাপুজোর মুখ করা হল।
'কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ' এবং 'দক্ষিণ ট্যাংরা শীতলা যুব সংঘ' এই দুটো পুজোর মুখই এবার বাংলাদেশের নায়িকা অপু বিশ্বাস। দুই বাংলার সম্প্রীতির খাতিরে অপু কিন্তু কোনওরকম পারিশ্রমিকও চাননি পুজো কমিটির কাছ থেকে। আর এমন কাজ করতে পেরে নায়িকা যে বেজায় খুশি, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী আদতে হিন্দু সম্প্রদায়ের। সেকথা টেনেই অপুর মন্তব্য, "খুব আনন্দ হচ্ছে। এমন পদক্ষেপ আগে কখনও করা হয়নি। কিন্তু কলকাতার পুজোর প্রতি সবসময়েই একটা আলাদা টান রয়েছে। এখানে এত ভাল দুর্গাপুজো হয়। বাংলাদেশেও হয়। কিন্তু পুজোর মুখ হওয়া হয়নি কখনও। এতদিনে দুর্গা সাজার সাধপূরণ হল।"
আগে কখনও কলকাতায় দুর্গাপুজো কাটিয়েছেন? এপ্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলছেন, "শৈশবে মায়ের সঙ্গে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখার সুযোগ দু-একবার হলেও অভিনেত্রী হওয়ার পর আর আসা হয়নি। যে সংস্কৃতি-পরিবেশে মানুষ হয়েছি, সেখান থেকেই ইচ্ছে ছিল দুর্গা সাজার।"
<আরও পড়ুন: আরও এক সিরিয়ালের ইতি! শেষ হচ্ছে ‘আয় তবে সহচরী’ও?>
কলকাতার দুর্গাপুজোয় দিন কয়েক ধরে যে মজা-আনন্দ হয়, সেই আমেজটা মিস করেন অপু। তাই এই ফাঁকে এও জানিয়ে দিলেন যে, এবার সপরিবারে কলকাতায় পুজো কাটালে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডায় দারুণ আনন্দ করবেন।
কলকাতার সংশ্লিষ্ট দুই পুজো মণ্ডপে সম্প্রতি দুর্গাবেশে শুটও করে ফেলেছেন অপু বিশ্বাস। একটিতে লাল বেনারসি, গয়নায় সেজে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। আরেকটি শুটের জন্য পরেছিলেন লাল পাড় সাদা শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা।
প্রসঙ্গত, অপু কলকাতায় এসেছিলেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর গল্পের অবলম্বনে যে ছবি তৈরি হচ্ছে, তার শুটিং করতে। 'শর্টকাট'-এ অপুর পাশাপাশি অভিনয় করছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তীও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন