রিক্সাচালকের ছেলে-মেয়ে, তাঁদের জন্য এত ভাবছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার! এমনকি, সেই দুই খুদের খবর শুনে এতই মায়ায় পড়লেন অভিনেত্রী যে তাঁদের দায়িত্ব নিতেও পিছপা হলেন না তিনি। আসলেই যেন তাঁদের জীবনের পরী হয়ে উঠলেন তিনি। মানবিকতা কাকে বলে, আবারও প্রমাণ করলেন।
কথায় বলে, ক্ষমতা আর অর্থ মানুষকে মনুষ্যত্ব হারাতে বাধ্য করে। কিন্তু, একজন মানুষ যে নাকি এত বড় মাপের তারকা, সেও এই ঘটনায় পিছিয়ে থাকলেন না। আলোচনায় পরীমণি। তাঁর মাতৃত্ববোধ সাংঘাতিক। তাই তো, বাংলাদেশের এক রিক্সাচালকের দুই সন্তানের খবর জানতে পেরেই পিছিয়ে থাকতে পারলেন না। সেই চালকের দুই ছেলেমেয়ে মরিয়ম এবং নুর। মা নেই তাঁদের। বাবা তালা দিয়ে অর্থ রোজগারে বেড়িয়ে গেলে তাঁদের দিন কাটে ভয়ঙ্করভাবে।
আরও পড়ুন < ‘আমি ভীষণ লয়াল, কিন্তু…’, শোভন সৎ ছিলেন না সম্পর্কে? স্বস্তিকার ইঙ্গিতে… >
দিনের পর দিন অর্থাভাব, অপরিচ্ছনতায় থাকতে হয় তাঁদের। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে নান সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু, পরী? তাঁর কাছে এই খবর আসতেই যেন নিজেকে ঠিক রাখতে পারলেন না। এলাকার কনটেন্ট নির্মাতা-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন তিনি। সেই দুই শিশুর পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন অভিনেত্রী। নিজেও ছোটবেলা থেকেই মাতৃহারা। সেই দুই বাচ্চা কেমন আছেন মাকে ছাড়া, ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে তাঁর। রাজ্যর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
ছেলে রাজ্যর কাছে এখন তিনিই সব। স্বামী-রাজ্যর বাবা শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে সে মায়ের কাছেই থাকে। শেষকিছুদিন অসুস্থ ছিল রাজ্য, হাসপাতালে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন তিনি। আপাতত, সে বাড়ি ফিরেছে। সকলের কাছে কৃতজ্ঞ অভিনেত্রী। বললেন… "আপনারা আমার ছেলেটাকে কতটা ভালবাসেন, এই কদিনে বুঝেছি। ও বড় হোক, ওকে সবার কথা বলব।"