বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমণিকে খুন-ধর্ষণের চেষ্টা! উত্তাল ওপার বাংলা। শারীরিক নির্যাতনের দিন পাঁচেক পরও মানসিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিমণী। যার জেরে রবিবার সন্ধেয় বাংলাদেশের প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হয়ে খোলা চিঠি লিখে, তাঁকে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এমনকী, পরিমণীর সমর্থনে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসানও। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিমণী-কাণ্ডে যথাযথ পদক্ষেপ করে হাসিনা সরকার। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হাসিনাকে 'মা' সম্বোধন করে খোলা চিঠি লেখার পরই এদিন রাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পরিমণী। তিনি জানান, "আমি মরতে চাই না। আমি আত্মহত্যা করব না। কিন্তু যদি আমি মরে যাই, জেনে রাখবেন, আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার বাড়িতে আমি সুরক্ষিত নই।" অভিনেত্রীকে ধর্ষণ এবং খিনের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে স্থানীয় থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে তাঁর দাবী। এরপরই নেটদুনিয়ায় খোলা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দ্বারস্থ হন তিনি।
<আরও পড়ুন: Sushant Singh Rajput: প্রয়াত অভিনেতার নামে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চালুর পরিকল্পনা কেন্দ্রের>
এদিকে পরিমণী-কাণ্ডে মুখ খুলেছেন জয়া আহসানও। তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি জানিয়েছেন, "একবিংশ শতকের দাঁড়িয়েও মেয়েদের এমন লাঞ্ছনা দেখতে হবে? কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার মন, মানসিকতা বা দুঃসাহস আসে কোথা থেকে? যে চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্তে-ঘামে আমরা তিল তিল করে গড়ে তুলছি, তা এতই নাজুক, এতই খেলো?" প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন জয়া। পাশাপাশি পরিমণীর হয়ে বিচারও চেয়েছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে উত্তাল প্রতিবাদের পরই হাসিনা সরকার তড়িঘড়ি এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। নাসির উদ্দিন নামে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার। বাকিদেরও ওই একই জায়গা থেকে আটক করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্তর বাড়ি থেকে মাদকও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত সকলকে ঢাকার মিন্টোরোডে গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলায় পরীমণী ৬জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন