Bangladesh Actor Elephant Attack: ভারত সীমান্তে শুটিং করতে গিয়েই হাতির কবলে, কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন বাংলাদেশী অভিনেতা - ফ্লোরের সদস্যরা

Bangladeshi Shooting floor attacked by elephant in India border: বেশ কিছুদিন ধরেই জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের অনেক তারকারা ভারতীয় সীমান্তের আশেপাশে রয়েছেন। তারা সেখানে কি করছেন এই নিয়ম প্রশ্ন উঠছিল। তবে জানা যায় তারা শুটিং করছিলেন সেখানে। আর ভারত সীমান্তে শুটিং ( Bangladesh Cinema Shooting ) করতে গিয়েই এবার এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা স্বীকার হয়েছেন তারা। এমন ঘটনা ঘটেছেন যে ইহ জীবনে সেই সাংঘাতিক দিনের কথা ভুলবেন না। শেরপুরের নলিতা বাড়িতে, যেটি মেঘালয় বর্ডার ( Meghalaya )  এর কাছাকাছি, সেখানে শুটিং করছিলেন শাকিব খানের প্রাক্তন বুবলি এবং অভিনেতা সজল।

গারো পাহাড় সেখান থেকে এমন কিছু দূর নয়। শুটিংয়ে আসা যাওয়ার মধ্যে নাকি তাদের হাতির দর্শন মিলে ছিল। আর এবার সেই হাতির তাণ্ডব এই ছারখার শুটিং ফ্লোর। হাতির আক্রমণের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেকেই বেশ আঘাত পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সজল জানিয়েছেন নিজের অবস্থার কথা। ছবির পরিচালক জানিয়েছেন যে, সেখানে আসার পর থেকেই নাকি হাতির গল্প অনেক শুনেছেন। হাতি দলবল সহ চলে আসে লোকালয়ে, এমনটাও শুনেছিলেন। কিন্তু সেটাই যে স্বচক্ষে দেখবেন এ কথা কল্পনাও করতে পারেননি। পরিচালকের কথায়, " শুনেছিলাম এখানে দলবলসহ হাতি চলে আসে। তাতে ঘরবাড়ি এবং ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের শুটিং ফ্লোরও তাই হয়েছে। এখন সবাই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু আতঙ্ক কারওর কিছু ছাড়েনি।" পরিচালক জানান তারা ভয়ের চোটে শুটিং চড়ে চারপাশে আলো জ্বালিয়ে শুট করছেন।

Mukherjee Family member Passed Away: মুখোপাধ্যায় পরিবারে নেমে এল শোকের ছায়া, কাছের মানুষকে হারালেন কাজল - রানীরা..

এদিকে অভিনেতা সজল? হাতির পাল্লায় পড়েছিলেন অভিনেতা নিজেও। যখন সেই ঘটনা শুটিং ফ্লোরে ঘটে তিনি সেখানেই ছিলেন। অভিনেতার কথায়, "আমরা শুটিং করছিলাম তখন, ন' দশটি হাতি এসে পড়ে। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে, পায়ে ব্যথা পেয়েছি। পায়ে ব্যাথা নিয়ে শুটিং করছি কিন্তু পরে জানলাম যে দুজন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের যে কারো সেই অবস্থা হতে পারত।" আর অভিনেত্রীর কী অবস্থা? হাতির সম্মুখীন হলেন তিনি?

অভিনেত্রী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন আমি তখন শুটিং স্পটে ছিলাম না। কিন্তু শুনলাম অনেক মানসিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যেখানে উঠেছি সেখান থেকে হাতি মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। হাতির আক্রমণ এখানে নিয়মিত ঘটনা। ভারতের চিকেন নেক অর্থাৎ মেঘালয় মনিপুর, এই অঞ্চলের হাতিরা আনাগোনা বরাবর। গারো খাসি এবং জয়ন্তী পাহাড় থেকে মাঝেমধ্যেই হাতি নেমে আসে লোকালয়ে।