শেষ কিছুদিন বাংলাদেশ জুড়ে যে ধরনের দৃশ্য দেখা দিয়েছে, তারপরে ঘুম উড়েছে বহু মানুষের। ছোট ছোট শিশুগুলো, নিষ্পাপ প্রাণ গুলো, কোন কারণ ছাড়াই তারা পাড়ি দিয়েছে না ফেরার দেশে। স্কুলে পড়তে গিয়ে তাদের সঙ্গে যেরকম কোনো ঘটনা ঘটবে, বাবা মা থেকে দাদা দিদি, কাছের মানুষদের কান্নার আওয়াজ বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুধু। চারিদিকে তাঁদের আর্তনাদ স্পষ্ট। এর মাঝেই, পরীমনি আবার হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। এবং সেখান থেকে একের পর এক আপডেট দিয়ে চলেছেন তিনি।
বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর জীবন একসময় বিতর্কেই ঘিরে থাকতো। শুধু বিতর্ক না, সন্তানকে নিয়ে বহুবার তাঁকে হাসপাতালে সময় কাটাতে হয়েছে। সন্তান রাজ্য যখন খুব ছোট, তখন থেকেই মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে থাকার মত অভিজ্ঞতা আছে তার। দিন দুয়েক আগেই যখন বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলের একের পর আর ভয়ংকর চিত্র ভেসে আসছে, ঠিক তখন, মারাত্মক শরীর খারাপ হয় পরীমনির। সেই সমস্ত আগুনে পোড়া দৃশ্য দেখে, তার প্যানিক অ্যাটাক হতে শুরু করে। তারপরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। সে সমস্ত দৃশ্য দেখে তার বুকে ধরফরানি বেড়ে যেতে শুরু করে। তবে বর্তমানেও তিনি খুব একটা ভালো নেই।
Jamie Lever: ভিডিও কলে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব! 'আমায় ওরা ব্ল্যাকমেল..', ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার জনপ্রিয় অভিনেতার মেয়ে
গতকাল রাত্রে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যে তার সন্তান তার পাশেই বসে আছেন। ছোট্ট রাজ্য মায়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে ঠিকই, মা তার কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু মাঝেমধ্যেই কেঁদে কেটে উঠছে সে। মাকে এভাবে দেখতে তার মোটেই ভালো লাগছে না। কিন্তু অভিনেত্রী এখনো খুব একটা ভালো নেই। চিকিৎসকরা একের পড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কোন রকম সূরাহাই হচ্ছে না। নিজে একজন মা তিনি, তাই মায়ের মনের দুঃখটা খুব ভালই বুঝতে পারেন। সন্তানদের ছাড়া যেমন বাবা-মা ভালো থাকতে পারেন না তেমন, বাবা মাকে ছেড়ে অনেক সন্তানই থাকতে পারেন না।
কিন্তু অভিনেত্রী প্যানিক অ্যাটাক মোটেই আয়ত্তে আসছে না। বরং, তার ছোট ছেলেটা স্টেথোস্কোপ কানে নিয়ে, মায়ের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ব্যস্ত। দিন দুয়েক পরেও মাঝেমধ্যেই প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে তাঁর। তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখছেন..
"প্যানিক অ্যাটাক মোটেই কোনো সহজ বিষয় নয়! এটা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে! আজ তিনটা রাত কি ভাবে পার করছি আমি শুধু জানি। হসপিটালের ডাক্তারা ( মেডিসিন, কার্ডিওলজি এবং সাইকোলজি বিশেষজ্ঞ) সবাই তাদের যথার্থ সাহায্য করে যাচ্ছেন। আমি শুধু ভাবছি, আমার বাচ্চারা না থাকলে কোনো চিকিৎসা কি আদৌও কাজে আসতো আমার এই মুহূর্তে ! আমি জানি নাহ…আমি শুধু জানি আমার বাচ্চারা আমাকে ছাড়া ভালো থাকবে না। আল্লাহ মহান সবার সহায় হোক।"