johny lever daughter Jamie lever: উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যখন বড় পর্দায় জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তখন তাঁদের পথে অনেক বাধা আসে। কিন্তু সবচেয়ে অন্ধকার ও ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলির একটি হলো কাস্টিং কাউচ.. যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাজের প্রতিশ্রুতির আড়ালে যৌন সুবিধার জন্য নবাগত শিল্পীদের শোষণ করেন। এটি এমন একটি বাস্তবতা যা বহু শিল্পীকে আতঙ্কে রাখে, বিশেষ করে যাঁরা বিনা গডফাদার ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন।
জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জনি লিভারের মেয়ে ও অভিনেত্রী জেমি লিভার সম্প্রতি একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যা কাস্টিং কাউচের অন্ধকার দিকটি আরও স্পষ্ট করেছেন জনির মেয়ে। একবার তাঁকে একটি আন্তর্জাতিক সিনেমায় অডিশনের নাম করে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বলা হয়েছিল। এই একটা অভিজ্ঞতা যা তাঁকে ভীষণভাবে আতঙ্কিত করেছিল। জেমি জানান, “আমি বলিউডে কাজ করছি, কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।”
Uttam Kumar Death Anniversary: অসাড় হয়ে গিয়েছিল শরীর, উত্তমের মৃত্যুর খবর কানে পেতেই যা মনে হয়েছিল শর্মিলার..
জেমি বলেন, তিনি বরাবর শুনে এসেছেন কাস্টিং কাউচের কথা, কিন্তু বিশ্বাস করতেন তাঁর বাবার পরিচিতির কারণে তিনি সুরক্ষিত। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর কোনো ম্যানেজার ছিল না, তিনি নিজেই নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করতেন। একদিন এক অজানা কাস্টিং এজেন্ট তাঁকে ফোন করে জানায়, একজন আন্তর্জাতিক সিনে নির্মাতা তাঁকে একটি চরিত্রের জন্য কাস্ট করতে চায়। সুযোগটা বড় মনে হওয়ায় জেমি রাজি হন এবং ভিডিও কলে অডিশনের জন্য প্রস্তুত হন।
অডিশন চলাকালীন ‘পরিচালক’ দাবি করেন, তিনি ট্রানজিটে আছেন বলে ভিডিও চালাতে পারছেন না, অথচ জেমির ভিডিও অন ছিল। স্ক্রিপ্ট না পাঠানোর অজুহাত দিয়ে বলা হয়, অডিশনটি হবে পুরোপুরি ইম্প্রোভাইজড। এরপর তাঁকে বলা হয়, চরিত্রটি খুব “সাহসী” একজনের। এবং তাঁকে এমন একটি দৃশ্য করতে হবে যেখানে তিনি একজন ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করছেন। আরও বলা হয়, তিনি চাইলে নগ্নও হতে পারেন।
Anand L Rai-Ranjhana: পাল্টে যাচ্ছে রাঞ্ঝানার শেষ দৃশ্য, আইনি চিঠি পাঠ…
জেমি তৎক্ষণাৎ অস্বস্তি বোধ করেন এবং সোজাসুজি বলেন যে তিনি এ ধরনের কিছু করতে রাজি নন। তখনও তাঁকে বোঝানো হয়, “এটা একটা বিরাট প্রজেক্ট, তোমার জন্য বড় সুযোগ।” কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এভাবে অনিরাপদ পরিবেশে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দ্রুত কলটি কেটে দেন।
পরে জেমি উপলব্ধি করেন, “আমি যদি বিনা চিন্তায় কিছু করতাম, তাহলে তারা সেই ভিডিও ব্যবহার করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল বা হ্যারাস করতে পারত। এটা একটা বড় স্ক্যাম হতে পারত।” সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় ছিল, এই প্রতারকরা জানত যে তিনি জনি লিভারের মেয়ে, তবুও সাহস দেখিয়েছিল এমন ফাঁদে ফেলার। "এমনটা চিন্তা করতেও ভয় লাগে,” সেদিনের ভয়ঙ্কর ঘটনার পর বলেন জেমি। তাঁর মতে, একজন নারীর আত্মরক্ষা বোধ, উপস্থিত বুদ্ধি এবং ‘না’ বলার সাহস – এসবই এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায়।
Uttam Kumar: শুধু অভিনেতা-পরিচালক নয়, মহানায়ক উত্তম গানও গেয়েছেন এই ছবিতে, জানেন কি?
এই অভিজ্ঞতা কেবল জেমির নয় – বহু শিল্পীই আজও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। কিন্তু জেমির মতো কেউ যখন সাহস করে মুখ খোলেন, তখন অন্যদের সতর্ক হওয়ার সুযোগ থাকে। এটি কেবল একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং গোটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি জোরালো বার্তাও বলে মনে করেন তিনি।