লকডাউনের ফলে ঘরবন্দি মানুষ। নিজের জন্য, নিজেদের আশেপাশের সম্পর্ক নিয়ে ভাবার জন্য অনেকটা খালি সময় রয়েছে। কতকিছুই না শিখতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানুষ সহনশীল হচ্ছে। পারস্পরিক বোঝাপড়ায় মান-অভিমান মিটছে, কাছাকাছি আসছে সম্পর্ক। কিন্তু সবক্ষেত্রেই হ্যাপি এন্ডিং হচ্ছে কি! এত সহজে মানুষের সম্পর্ক, বিশেষ করে তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
Advertisment
এমনই রূঢ় প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বারান্দা। দুই ভাইয়ের গল্পনির্ভর এই ছবিতে কী করে কেন্দ্রবিন্দু ওই বারান্দা এবং কখন যে সেটা দুজনের মধ্যে আস্ত একটা দেওয়াল তুলে দিয়েছে সেটা বোঝাই যায়নি।
দাদা ও ভাই গৃহবন্দি অবস্থায় ফোনে কথা বলে। উদ্যোগটা ছোট ভাইয়েরই ছিল। ছোটবেলার স্মৃতি থেকে হাসি মজা, মনে হল সবটা আগের মতো হয়ে যাবে। আর সেখানেই ছন্দপতন। নিজের মজ্জাগত স্বভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না দাদা, একইভাবে ভাইও ফিরে গেল পুরনোদিনের তিক্ততায়। মুক্তির বারান্দা-ই দাঁড়িয়ে রইল সম্পর্কের মধ্যিখানে। ছবিতে দুই ভাইয়ের ভূমিকায় রয়েছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও ইশান মজুমদার।
এর আগেও মুক্তি পেয়েছে শিলাদিত্য মৌলিকের ছবি একটি তারা। করোনা কবলিত পৃথিবীর গল্প ছিল সেই ছোট ছবি। এবারে সম্পর্কের চড়াই উতরাই। মনের ভেতরে যা থাকে তা কি আমরা প্রকাশ্যে আনি। নয় বোধহয়। কিন্তু লুকিয়ে রাখার অভেস্যে কখন সে চোরাপথ ধরে সম্মুখে এসে পড়ে বোঝার অবকাশ থাকেনা। আসলে মানুষই তা থেকে বেরোতে চায় না।
বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ করোনার মোকাবিলার উপায় বার করে ফেলবে ঠিকই। একটু দেরীতে হলেও জীবন ফিরে স্বাভাবিক ছন্দে। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতেই মানসিকতার পরিবর্তন হবে না মানুষের। অনির্বাণ মাইতির সম্পাদনায় ও বিশাখ জ্যোতি-র আবহে সেই চিত্রনাট্যেই প্রাণ দিয়েছেন শিলাদিত্য মৌলিক। আপনার থেকে উপরে উঠে স্বার্থপরতাকে জয় করবে মানুষ! এ তো আজও প্রশ্ন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন