Basabdatta Chatterjee সালটা ছিল ২০১৯। ১৪ জানুয়ারি থেকে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছিল দেশাত্মবোধক বাংলা মেগা 'নেতাজি'। আর নেতাজির মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলা মেগার দর্শকের স্মৃতিতে ফিরে এসেছে 'নেতাজি'। টেলিভিশনের পর্দায় দেশপ্রেমের নজির গড়েছিল এই ধারাবাহিক। ভারত-পাক সীমান্তে যখন উত্তেজনা তখন 'নেতাজি'-র মা বাসবদত্তার ছ' বছর আগের স্মৃতি তাজা হচ্ছে? আজকের দিনে নেতাজির সঙ্গে বর্তমানে ভারতীয় সেনার বিনিদ্ররজনী যাপনের কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছেন? সেই প্রসঙ্গে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, 'ইতিহাসের পাতা থেকে তো আমরা অনেক কিছুই জেনেছি। কিন্তু, যখন 'নেতাজি' ধারাবাহিকে কাজ করেছি তখন আরও অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছি। ছোট থেকেই নেতাজির যে দেশভক্তি ছিল সেটা কিন্তু, আমরা সেভাবে জানতাম না। তাঁর বড়বেলাটার সঙ্গেই সকলে বেশি পরিচিত। ছোট থেকেই যে তিনি দেশের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তার খুঁটিনাটি অনেকটাই জেনেছি 'নেতাজি' ধারাবাহিকে কাজ করার সময়। এক একটি সিক্যোয়েন্সের শুট করার সময় চোখে জল চলে আসত-শরীরে শিহরণ জাগত।'
আরও বলেন, 'বর্তমানে যে পরিস্থিতি, দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সেনারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তাঁরা বিনিদ্ররজনী প্রহরায় আছেন বলেই তো আমরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। তাঁদের কতগুলো নিদ্রাহীন রাত, তার কোনও হিসেবই তো আমরা রাখতে পারি না। যখন এইরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন আমাদের ভিতর সেই অনুভূতি জাগে। নেতাজিও দেশকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন, সেনারাও সেই পথেরই পথিক। দেশের স্বাধীনতার জন্যই তো নেতাজি ও তাঁর সমসাময়িক সকলে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। এখনও সেই ভূমিকাই পালন করছেন সেনারা।'
অভিনেত্রীর সংযোজন, 'মহিলা কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে তো কুর্নিশ। দেশের প্রতি তাঁদের এই দায়িত্ববোধকে স্যালুট জানাই। যুদ্ধ তো কেউ চায় না। কিন্তু, বারংবার যদি কেউ একই জায়গায় আঘাত করে তাহলে এক ঘা দেওয়া অবশ্যই দরকার। নাহলে সারাজীবন শুধুই মারই খেয়ে যেতে হবে। আমি যুদ্ধ সমর্থন করি না কিন্তু, ভারতের এই প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করি। ভারতীয় সেনারা তো দেশের জন্যই লড়ছেন। আগামীতেই আমি ওঁদেরকে সমর্থন করব।'
আরও পড়ুন শুটিং থেকে ছুটি, প্রথম বিবাহবার্ষিকী কী ভাবে উদযাপন করছেন আদৃত-কৌশাম্বী?