Basanti Chatterjee Health Update: বাংলা সিরিয়াল ও সিনেমার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। আটের দশকের অভিনেত্রী উত্তম কুমারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এছাড়াও প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। স্টার জলসার ফেমাস মেগা গীতা এলএলবি-তে অগ্নিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের মায়ের চরিত্রে দর্শক দেখেছে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে।
২০২৪-এ সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। ফের গুরুতর অসুস্থ টলিপাড়ার এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। বাঁদিকের পাঁজর ভেঙে একেবারে শয্যাশায়ী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাসন্তী দেবীকে যিনি সবসময় দেখভাল করেন তিনি জানিয়েছেন কথা বলতে ওঁর কষ্ট হচ্ছে।
রেখা দেবী তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'অজ্ঞান হয়ে চেয়ার থেকে পরে গিয়েই তো এই মারাত্মক বিপদ ঘটে গেল। পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। বাঁ পায়ের থাইয়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। খাট থেকে নামা-ওঠা করার মতো অবস্থাতেই নেই। কোনওরকমে উঠে বসিয়ে দিচ্ছি। ওইভাবেই খাওয়াদাওয়া করছেন। কানেও ভাল শুনতে পান না। আটদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারপর ওখান থেকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বলল এখন আরা জায়গা নেই। এখন এভাবেই চলছে। টাকার জন্যই চিকিৎসাটা সেভাবে হচ্ছে না'। শ্যুটিং -এ যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বন্ধ উপার্জনও। বাসন্তী দেবীর ভবিষ্যৎ কী?
রেখা দেবীর সংযোজন, 'শ্যুটিং তো পুরোপুরিই বন্ধ। দমদম থেকেই শ্যুটিংয়ে যেতেন। এখন শ্যুটিং বন্ধ বলে ওঁর আয়ও নেই। মেয়ে জামাই এসেছিল। কিন্তু, সেভাবে তো আর অর্থ সাহায্য করতে পারছেন না। এখন টাকা নেই তাই দিতে পারবে না ওঁরা। যেকদিন বেঁচে থাকবে এভাবেই থাকতে হবে। চোখে দেখা যায় না এই কষ্ট। খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ওনাকে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। একা থাকি ওনাকে নিয়ে। কতবার হাসপাতালে ভর্তি হল! মেয়ে-জামাই যে একবারেই কিছু করছে না সেটা বলা ভুল। এখন তো প্রচুর টাকার প্রয়োজন। সেটা তো ওঁরা মনে হয় না দিতে পারবেন।'
অন্যদিকে রিল লাইফ পুত্র ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় এবারেও আর্থিক সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেছেন। এই বিষয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে অভিনেতা জানান, 'গীতা এলএলবি-র সকলেই নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্যের চেষ্টা করে। স্নেহাশিষ দা তো ওনাকে সবসময় সাহায্য করছেন। কিন্তু, ওঁর তো খরচটা অনেক বেশি। পেসমেকার বসানো, ক্যানসারের রোগী। ওঁর একটু বেডসোরও হয়ে গিয়েছে। ওষুধ চলছে। ডাক্তার তো বলছে ভাল হয়ে যাবেন। চিকিৎসা-ওষুধ মিলিয়ে মোটা টাকা খরচ। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে পোস্ট করলাম। যদি একটা পারমান্যান্ট আর্থিক বন্দোবস্ত হয়।'