রোহিঙ্গা ইস্যু যখন মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারতে, কিংবা প্রকাশ্যে আসছে এনআরসি প্রসঙ্গ, ঠিক তখনই সেলুলয়েডে পরিচয় হচ্ছে 'মরিচঝাঁপি'র। সেই মরিচঝাঁপি, যেখানে উদ্বাস্তুরা থাকার জায়গা পান নি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু কেন? কারা দায়ী এই ঘটনার জন্য? এসমস্ত প্রশ্ন ফের একবার তুলতে চলেছেন পরিচালক বৌধায়ন মুখোপাধ্যায়।
সুন্দরবনের 'মরিচঝাঁপি' যন্ত্রনার কথা বলবে। কলেজে পড়ার সময়ে এই ঘটনার সঙ্গে পরিচয় বৌধায়নের। পরে এই বিষয় নিয়ে আরও পড়াশোনা করা। শেষমেশ অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে গবেষণা। 'মরিচঝাঁপি'র ব্যথার কথা পৌঁছে দিতে চান বিশ্ব দরবারে। ‘তিনকাহন’ ‘ভায়োলিন প্লেয়ার’-এর মতো ছবি বানানোর পর এবার তাঁর নতুন ছবি।
আরও পড়ুন, ‘গোত্র’ আসলে কী ? উত্তর দেবেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা
বাংলাতেই তৈরি হবে এই ছবি। তবে এখনও ঠিক হয়নি ছবির কাস্ট। আসলে চরিত্রের সঙ্গে মানানসই মুখ পেতে এখনও খোঁজ চালাচ্ছেন পরিচালক। 'মরিচঝাঁপি'-র প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁর নিজের প্রযোজনা সংস্থা ও বিদেশি একটি প্রযোজনা সংস্থা। তবে এই কাহিনি কেবলমাত্র যন্ত্রণার নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে প্রেমও। বাংলার জন্য প্রেম, এবং সেই টানেই ফিরে আসা মানুষের গল্প বলবে এই ছবি।
১৯৭৮ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে ছবি। সে কারণেই জায়গা খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে টিমকে। আপাতত পরিদর্শন চলছে। মুম্বই ও কলকাতায় পুরোদমে শুরু হয়েছে নতুন মুখ খোঁজার কাজ। বর্তমানে কানে রয়েছেন পরিচালক, ফিরেই হাত দেবেন 'মরিচঝাঁপি'র কাজে।