Pahalgam terror attack 2025: ভূস্বর্গ সত্যিই আজ ভয়ঙ্কর। গতকাল কাশ্মীরে যা ঘটেছে এরপর বোধহয় এর থেকে ভাল শব্দ আর হয় না। নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যারা ঘুরতে গিয়েছেন তাঁদের আনন্দ আজ মৃত্যুমিছিলের মাঝে হারিয়ে গিয়েছে। পরিবারকে হারিয়েছেন সকলে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এমন এক বাঙালির সঙ্গে যিনি সহজ ভাষায় কাশ্মীর নিয়ে PHD করেছেন। তিনি সেখানকার খুব কাছের মানুষ। কাশ্মীরের মানুষদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা জানিয়েছিলেন নিজে মুখেই।
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় কাশ্মীরকে আজ যেভাবে দেখছেন, সেই কাশ্মীরকে তিনি চেনেন না বলেই জানিয়েছেন। অত্যন্ত মর্মাহত তিনি গতকালের ঘটনার। অভিনেতা, সহজ সোজা ভাষায় ফোন যেতেই কষ্টের সঙ্গে বললেন, "আমি ভাবতেও পারছি না। কাল যখন এই ঘটনাটা শুনলাম, আমি অবাক। সারারাত ঘুমাতে পারিনি আমি। আমার সঙ্গে বন্ধুদের কথা হয়েছে গতকাল থেকে অনেকবার। ওরা ভীষণ আতঙ্কে আছে। ওরা বলছে, আমাদের জীবনটা আবার নষ্ট হয়ে যাবে। আমি যে কাশ্মীরকে চিনি এটা সেই কাশ্মীর না। আমি সেই কাশ্মীরকে চিনি, যেখানে পর্যটকদের মাথায় তুলে রাখা হয়। ওরা সত্যিই মনে করে টুরিস্ট ওদের দেবতা। আর ওখানে একটাই ইন্ডাস্ট্রি ট্যুরিজম।"
Pahalgam terror attack: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ২ দিন আগেই কোলের…
কিন্তু এই হামলার আড়ালে কি কোনও কারণ আছে? এতবার সেখানে গিয়েছেন। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে তাঁর দারুন যোগাযোগ, তাঁদের জীবনযাত্রা দেখেছেন। ভাস্বর এর কথায়, "ওখানে না অনেককিছু খুব নর্মাল হয়েছে। Inox খুলেছে। ইমরান হাসমির একটা ছবির প্রিমিয়ার হওয়ার কথা আছে। এইগুলো বন্ধ করার জন্যই আমাদের প্রতিবেশী দেশ উঠেপড়ে লেগেছে। তাঁদের ভাবনাটা এই, যে কী করে সব নর্মাল হল? একটা খুব সাধারণ লজিক আছে। ট্যুরিজম বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ আর যাবে না বেড়াতে। ফলে, সেখানকার মানুষের পেটে লাথি মারার মতো হল। তাঁরা ঘরে বসে গেলেন। এবার, তাঁদেরকে সেসব লোকেরা বলল, আমরা তোমায় টাকা দিচ্ছি, এসো আমাদের সঙ্গে। আমার কাছে এটা পাকিস্তানের বদমাইশি ছাড়া কিছু না। আর আমি এও মনে করি, যে এটাই সময় ভারত সরকারের কাছে। পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদকে একদম মুছে ফেলার। আমি জানি তাদের কাছে সেই ক্ষমতাও আছে। ওরা পারবে না এটা হতে পারে না।"
১৯৯০ এর পর আবারো প্রায় একই ঘটনার উত্থান। কিন্তু, কাশ্মীরের মানুষরা এখন সজাগ। নিরীহ মানুষের প্রাণ যাওয়ার এই প্রতিবাদে তাঁরা সামিল হয়েছেন। ভাস্বর বলছেন, "ওদের মানুষরা বলছেন তো, যে যারা খুনি তাদের খোঁজ করো এবং মারো। এই কাশ্মীর কিন্তু কেউ দেখেনি। কারণ, ওরা জানে, যে আবার ওদের বাড়িতে বসে পড়তে হবে, যদি মানুষ আনন্দ নিয়ে বেড়াতে না যায়। আমার তো আরও একটা বিষয় মনে হয়, আরেক দেশের হাতও আছে।" নিজের বন্ধুদের নিয়েও বেশ আতঙ্কে আছেন তিনি। অভিনেতা জানান, তাঁরা ঠিক আছেন, কিন্তু ভয়ে আছেন। এমনকি তাঁরা নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।