Rajatava Dutta on Tollywood: অভাবের তাড়নায় টলিপাড়ার এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় গোটা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি তোলপাড়। গত মে মাস থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ওই হেয়ার ড্রেসারকে। কাজও পাচ্ছিলেন না। কিন্তু সাসপেনশন উঠলেও কাজ দেওয়া হচ্ছিল না তাঁকে। অভাবের জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই শিল্পী। আরজি কর কাণ্ডে যেমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেরকমই অভিযোগে বিদ্ধ এবার টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়াও। এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত।
হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ক্ষুব্ধ টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে মুখ খুলেছেন অনেক তারকা, পরিচালক-নির্মাতারা। ইন্ডাস্ট্রিতে যে অঘোষিত মাতব্বরি চলছে তা বন্ধের দাবি তুলেছেন অনেকে। অনেক শিল্পী-কলাকুশলী কাজ হারাচ্ছেন বা পাচ্ছেন না এই দাদাগিরির জন্য।
রজতাভ দত্ত বলেছেন, 'আগে গল্পে-সাহিত্যে পড়েছিলাম গ্রামের কাউকে একঘরে করে দেওয়া হত, সেরকমই আবার দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং নিন্দনীয়। এরকম ভয়ের পরিবেশ কেন থাকবে? একজন মানুষ জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মত প্রকাশের, প্রতিবাদ করার, নিজের ইচ্ছা মতো কাজ বেছে নেওয়ার অধিকারী। সেটাকে কোনওভাবেই যদি খর্ব করার চেষ্টা হয়, সেটা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। বরং সেটা খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি।'
অসুখ সারবে কীভাবে?
তবে এত খারাপের মাঝেও আশার আলো দেখছেন রজতাভ। তিনি বলেছেন, 'একইসঙ্গে আমি জীবন সম্পর্কে খুবই আশাবাদী। আমি মনে করি একটা অসুখকে যদি শনাক্ত করা যায় তাহলে সেটাকে সারিয়ে ফেলাটা তুলনামূলক সহজ। হয়তো অন্য ইন্ডাস্ট্রি বা কর্মক্ষেত্রেও এগুলো রয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রচার পায়। যেহেতু আমাদের যে কোনও জিনিসই অনেক বেশি মানুষের সামনে চলে আসে। সেটা যেভাবেই আসুক না কেন, অসুখটা যখন চিহ্নিত করা গিয়েছে, তখন আমি মনে করি সেটাকে সমূলে উৎখাতও করা যাবে।'
প্রসঙ্গত, হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে হেয়ার স্টাইলিস্টদের 'গিল্ড সিনে অ্যান্ড ভিডিও হেয়ার স্টাইলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন' এবং 'ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'র ভূমিকা। এই ফেডারেশনের মাথা হলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। কাঠগড়ায় হেয়ার স্টাইলিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী রিনা মণ্ডল। ওই হেয়ার ড্রেসার নিজের সুইসাইড নোটে রিনা মণ্ডলের নামেও অভিযোগ করেছিলেন।