Ditipriya on Pahalgam Incident Attack: কাশ্মীর মানেই এমন কিছু - যা মানুষ সারাজীবন স্মৃতিতে রেখে দেন, আর সেই ঘটনাই যেন সত্যি হল। কাশ্মীর এমন এক দৃশ্য ভারতের মানুষকে দেখিয়ে দিল, আজ যেন সেই সবুজ গালিচায় তাকালেও রক্ত ভেসে উঠেছে। চোখের সামনে যা দেখেছেন মানুষ, তাতে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে। ভূস্বর্গ ভ্রমণ যে সত্যিই স্বর্গের পথে ঠেলে দেবে - এমনটা কি কেউ ভাবতে পেরেছিলেন? যদিও বা কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে নানা গল্প শোনা যায়।
কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় এবং জিতু কমল গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। তাঁদের নতুন ধারাবাহিকের প্রমো শুটিং করতে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখন কি আদৌ কিছু বুঝেছিলেন? কিছু টের পেয়েছিলেন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে অভিনেত্রীর কাছে ফোন যেতেই তাঁর গলায় স্পষ্ট আক্ষেপের সুর। তিনি বলছেন, "আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে। প্রথমবার তো পুরো কাশ্মীর ঘুরেছিলাম। পহেলগাও গিয়েছিলাম। আমি বারবার বলছিলাম সকলকে যে দেখো কী সুন্দর। কী শান্তির পরিবেশ, চারপাশটা কী দারুণ। এখন তো ওখানে টানেল আছে, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য। এখন তো সোনমার্গ গিয়েছিলাম শুটিংয়ের জন্য।"
Salim Merchant on Pahalgam Terror Attack: 'ভীষণ ঘেন্না হচ্ছে..', কাশ্…
অভিনেত্রী আবারও প্ল্যান করছিলেন। কিন্তু সেদিনের ঘটনায় এখন বেশ অস্বস্তিতে আছেন। তিনি বলেন, "আমি অমরনাথ যাওয়ার প্ল্যানিং করছিলাম। আমি শুনে এসেছি ওখানে, যে কী করতে হয় যাওয়ার জন্য। এই ঘটনাটা এত অদ্ভুত। সাংঘাতিক চেকিং থাকে সেখানে। এরম দুর্দশা এবং হতাশা আমাদের। সত্যি বলছি, ওখানে এত সিকিওরিটি এবং সেনা নিরাপত্তা, তারপরেও আমার আফসোস এখানেই যে, আমরা সেই জঙ্গিদের ধরতে পারলাম না।" আর পাঁচজন কাশ্মীর যাচ্ছেন শুনে বাড়ির সকলে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেয়, তাঁর বাড়িতেও কি সেরকম হয়েছিল? অভিনেত্রীর কথায়...
"আমার বাড়িতেও সেটাই হয়েছিল। বেশিরভাগ বলেছিল, দেখে শুনে যা, ওটা কাশ্মীর। কিন্তু, আমি ওখানে যেই পা রাখলাম সঙ্গে সঙ্গে এটা বুঝলাম যে জায়গাটা মোটেই খারাপ ছিল না। আর ওখানে যে মানুষরা আছেন, তাঁরা সত্যিই ভাল। তাঁরা প্রত্যেককে টুরিস্টদের সঙ্গে দারুণ ব্যবহার করেন। আসলে, ওরা জানেন যে এটাই তাঁদের রুটিরুজি। আমি ওখানে থেকেছিলাম। কালকে তো মেসেজ করলাম যে ট্যুর গাইড আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁকে। ও বলল, খুব সমস্যার মধ্যে আছি। জানি না কি হতে পারে। তবে, আরেকটা ঘটনা আমি শেয়ার করতে চাই। ওখানে নিরাপত্তা আমি চোখের সামনে দেখেছি। প্রথমবার যখন আমি পহেলগাঁওতে ছিলাম, যেদিন ফিরে আসছি, সেদিন দেখলাম প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। আমাদের হোটেলটা একটু দূরে ছিল। তাই, আমরা খুব একটা কিছু বুঝিনি। কিন্তু, যেটুকু ধারণা হচ্ছিল, যে ওরা কিছু একটা বুঝতে পেরেছে। একারণেই মানুষের সুরক্ষার্থে তাঁদের অন্য হোটেলে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এত কড়াকড়ি, কিছু একটা দেখলেই তৎপর হয়ে যায় ওখানে সবাই।"
আফসোস হচ্ছে তাঁর। সোসিওলজির ছাত্রী দিতিপ্রিয়া এমন একটা ঘটনায় যেন স্তব্ধ। সমাজ কল্যাণ নিয়ে যিনি পড়াশোনা করছেন, তাঁর মনের ভেতর অনেক প্রশ্ন ঘুরছে। কিন্তু, কাশ্মীর যাওয়ার আগে যে নানা কিছু বুঝেশুনে নেবেন তিনি একথা পরিষ্কার।