Rituparna Sengupta-Ahmedabad Plane Crash 2025: ছ'সেকেণ্ডের রুদ্ধশ্বাস একটা মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল বিমানটি। গন্তব্যস্থল ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। ২০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ান এই বিমানটি। উড়ানের ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসের উপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, যে ভবনে বিমানটি আছড়ে পড়েছে সেখানে অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা থাকতেন। দুর্ঘটনার সময়ে যাঁরা সেখানে ছিলেন, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা। এই ঘটনায় আতঙ্কিত টলি ক্যুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কারণ তিনি তো প্রায়ই বিমানে ভ্রমণ করেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/2ce9b8da-e04.jpg)
Actress Tragic Death in Plane Crash: বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় বছর ১৪…
অহমদাবাদের এই মারাত্মক দুর্ঘটনা মনের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলল? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'অবশ্যই। আমার জীবনটা তো বেশিরভাগ সময় বিমানেই কেটে যায়। কখনও কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুর তো কখনও আবার মুম্বই থেকে সিঙ্গাপুর, যাতায়াত তো লেগেই আছে। এইরকম বিমান দুর্ঘটনা ইতিহাসে প্রথমবার। আগামীকালই আমি কলকাতা যাচ্ছি। এই ঘটনার পর সত্যিই মনের মধ্যে অজানা একটা ভয় কাজ করছে। গতবার তো আমি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেই মুম্বই থেকে সিঙ্গাপুর এলাম। তবে কাল যে কলকাতা যাব সেটা ইন্ডিগোতে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/98ae1bbe-537.jpg)
Ahmedabad Plane Crash: একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে লাগাতার যাতায়াত, ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কতটা শঙ্কিত দেবচন্দ্রিমা-কঙ্কনারা?
এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের পরিষেবা পছন্দ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। তাঁর কথায়, 'এই বিমানের পরিষেবা এখন অনেক উন্নত। অনেক জায়গা থেকে এই বিমানে ট্রাভেল করে সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছনোর সুবিধা রয়েছে। আমি তো বহুবার এয়ার ইন্ডিয়ায় যাতায়াত করেছি।' ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, 'যাঁরা এই বিমানে ছিলেন তাঁদের পরিবার কখনও ভাবেনি সেই মানুষটা আর কখনও বাড়ি ফিরবেন না। আর যাঁরা ট্রাভল করছিলেন তাঁরা জানতেও পারলেন না এটাই তাঁদের শেষ বিমানযাত্রা! অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। অহমেদাবাদে আমার অনেক বন্ধুবান্ধবও থাকে। তাঁরাও প্রায়ই বিমানে যাতায়াত করে। এইরকম মারাত্মক ঘটনা যেন আর কখনও না ঘটে, ঠাকুরের কাছে এটাই প্রার্থনা করব। বিমানযাত্রা বোধহয় সত্যিই ভয়ের, তাই হয়তো সিটে বসেই দুগ্গা দুগ্গা বলে।'