Rukmini Maitra-Hati Hati Pa Pa: আসন্ন তাঁর বিনোদিনী ছবির রিলিজ। রুক্মিণী মৈত্র যখনই পর্দায় আসেন, তখনই তিনি নতুন কিছু করেন। অন্তত, গতবছর থেকে অভিনয়ের এবং চরিত্র নির্বাচনে তিনি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছেন। একদিকে, তিনি যেমন বুমেরাং এর রোবট গার্ল, অন্যদিকে তিনি তেমন টেক্কা ছবির মায়া, আবার এখন থিয়েটার মঞ্চের সেই ব্যক্তিত্বকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন, যাকে নিয়ে তৎকালীন এবং বর্তমানেও চর্চার শেষ নেই। যদিও বা রুক্মিণী ( Rukmini Maitra ) আরেকটি ছবিতেও যে চেঞ্জ আনতে চলেছেন একথা সাফ জানিয়েছেন তিনি।
হাঁটি হাঁটি পা পা ছবির প্রথম শিডিউল শেষ করেছেন। সেই ছবি এক বাবা মেয়ের গল্প। তাতে অভিনয় করেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ( Chiranjt Chakraborty ) নিজেও। বিনোদিনীর পরেই একদম অন্য ধাঁচের ছবি। তাঁর সঙ্গে ছোটখাটো আড্ডা দিতে ফোন করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। অভিনেত্রী একগাল হাসি দিয়ে বলেন, "আমার মনে আছে, আমার প্রথম ছবি চ্যাম্পে চিরঞ্জিত দা ছিলেন। এবং ৭ বছর পর, আমার কাছে একটা দারুন অনুভুতি চিরঞ্জিত দার সঙ্গে কাজ করা। আমার বিশ্বাস এই ছবিটা একটা পরিবর্তন আনবে। আমরা দুজনে আসলে বলাবলি করতাম, যে আমাদের মধ্যে কিছু একটা কানেকশন আছে। এতটা সময় একসঙ্গে কাটানো। একজন ভীষণ সৎ মানুষ। তাঁর সঙ্গে একজন অভিনয়ের প্রতিষ্ঠান তিনি। অনেক কিছু শেখা যায় তাঁর সঙ্গে কাজ করলে। কী করে নিজেকে ভাল করা যায়, একজন অভিনেতা হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবে, এগুলো অভিজ্ঞতা।"
এই ছবিতে রুক্মিণী এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তী রয়েছেন বাবা মেয়ের ভূমিকায়। অনস্ক্রিন বাবা মেয়েদের জুটি কিন্তু বাংলা ছবি কিংবা ভারতীয় ছবিতে দারুণ জনপ্রিয়। সেই তালিকায় দীপিকা অমিতাভ থেকে, সঞ্জয় অদিতি, আর এখন রুক্মিণী এবং চিরঞ্জিত পর্দায় যে কোনও কামাল করবেন একথা পরিষ্কার। অভিনেত্রী বললেন, "শুটিং চলাকালীন প্রতিদিন সকালে আমি উনাকে গুড মর্নিং জানিয়ে জড়িয়ে ধরতাম। আমার মনে হয়, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মন থেকে সেটা করতে চান। কিন্তু পারেন না। আমি সেই লাকি চাইল্ড, যে এটা করতে পারত... ( হাসি )। এটাই বলব মানুষ খুব সুন্দর বাবা মেয়ের জুটিকে দেখতে পাবে.. ( হাসি )। আর এই ছবিতে অনেকেই নতুন। আমার পরিচালক থেকে প্রযোজক সকলেই একদম নতুন। খুব শান্তির কেটেছে ফ্লোরে।"
অভিনেত্রী, একের পর এক চরিত্রে অভিনয় করছেন, কিন্তু একটা ছবির সঙ্গে আরেকটাকে মেলানো যাচ্ছে না। কোনসময় রোবট, আবার কোনসময় ইন্সপেক্টর, - চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলছেন তিনি। ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ঢেলে দেওয়ার আগে, ভাবনা কী থাকে তাঁর? অভিনেত্রী অকপটে উত্তর দিলেন, "আসলে কী বলোতো, শেষ কিছু ছবিতে এই বদল হয়েই যাচ্ছে। জয় গোস্বামী সৃজিতদাকে ( Srijit Mukherjee ) ফোন করে বলেছেন, তাঁর আমার পারফরমেন্স দারুণ লেগেছে। এমনকি দিদি, অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) আমায় ফোন করে বলেছিলেন, খুব ভাল লেগেছে তাঁর মায়া চরিত্রটা। খুব সাধারণের মধ্যে অসাধারণ কিছু করেছিলাম, এটাই বলেছিলেন উনি আমায়। এগুলো আমি শুনছি? ভাবা যায়? আমি সবসময় ভাবতাম আমি কী করছি, সেটা হয়তো কেউ দেখছে না। এবার আসি চরিত্রের কথায়, মায়া খুব বর্তমান সময়ের চরিত্র, বিনোদিনী অতীতের পাতায় লেখা এক অসম্ভব সুন্দর অধ্যায়। অনেক কঠিন একটা বিষয় তাঁর জুতোয় পা গলানো। আমি যখন হাঁটি হাঁটি পা পা ঘোষণা করলাম, সবাই ভাবছিল আবার নতুন কী আসছে! মানুষ এটাই ধরে নিয়েছেন যে, আমি ভিন্ন কিছু করবই। এবং সত্যি আমি আলাদা কিছু করতে চাই। বিউটি উইথ সিম্পলিসিটি এই চরিত্রটা। আমায় একটা বাক্সে বেঁধে ফেলার আগেই আমি আবার বদলে যাব, এটাই আমার ইচ্ছে।"
অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে যখন আড্ডা হচ্ছিল, তখন দেব ( Dev ) এবং খাদানের প্রসঙ্গ আসবে না এটাও হয়? তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল খাদানের সাফল্যকে বর্ণনা করতে হলে কী বলবেন? অভিনেত্রীর কথায়, "ব্লকবাস্টার, আর হ্যাঁ! বাংলা ছবি ইস ব্যাক। আর থেকে বেশি আর কিছু বলার নেই।"