/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/17/zF4OwDwBmATmzVYZ5Wkj.png)
যা সহ্য করেছেন তিনি...
Bengali Actress Tragic Life: চোখের সামনে কাছের মানুষকে কষ্ট পেতে দেখা যে কী সাংঘাতিক, সেকথাই বর্ণনা করেছেন টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সান্যাল। দিনের পর দিন বছরের পর বছর যখন কাছের মানুষটা যখন বিছানায় শয্যাশায়ী থাকে, তখন বাড়ি ফিরেও যেন কোন মানুষের মনে আনন্দ থাকে না। সোহিনীর জীবনটাও ঠিক সেরকমই ছিল। মায়ের জন্য প্রতিদিন যেভাবে যন্ত্রণা সহ্য করতে তিনি তাও মানসিকভাবে, অভিনেত্রী বলেছিলেন, আমাকে রোজগার করতেই হত।
সিরিয়াল কিংবা সিনেমা, সর্বত্রই সোহিনী নানান ধরনের ভূমিকার অভিনয় করেছেন। বিশেষভাবে মায়ের চরিত্র দারুন ভাবে জনপ্রিয়তা দিয়েছে তাঁকে। কিন্তু নিজের মাকে তিনি একদমই আনন্দে রাখতে পারেননি। তার মায়ের শারীরিক অবস্থা এমন পর্যায়ে ছিল, যে বাড়িতে এসেও সোহিনী যেন মন খারাপ থাকত অভিনেত্রীর। দিদি নম্বর ওয়ানে এসেই একবার মায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছিলেন তিনি। লাগাতার কাজ করে গেছেন একদিনও ছুটি নেননি। তার কারণ মায়ের চিকিৎসা করতে হবে। প্রতিদিন তার মায়ের চিকিৎসায় কত টাকা খরচ হতো জানেন?
Tollywood : বাবার মৃত্যুর পরেই ঘিরে ধরল ভাবনা, কেনই বা তাঁর ডাক্তারক…
অভিনেত্রী বলেন, মা মনে হয় মারা গিয়েই ভাল আছেন। কারণ শারীরিক যে যন্ত্রনা মানবদেহে সহ্য করতেন তিনি, আত্মাকে বোধহয় সেই কষ্টটা স্বর্গলোকে গিয়ে পেতে হয় না। কিন্তু মাকে সুস্থ রাখতে গিয়ে আমি যে কিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাকে ননস্টপ কাজ করে যেতে হয়েছে। তার কারণ মায়ের চিকিৎসা অনেকগুলো করে টাকা লাগত। আমি একদম ছুটি নেইনি। আমার মনে আছে, মায়ের চিকিৎসায় রোজ ৯৬ হাজার টাকা করে লাগত। এবং আমি এটুকু জানতাম আমাকে রোজগার করে যেতেই হবে। এ কারণেই কেরিয়ারে এক বিরাট বদল এনেছিলেন অভিনেত্রী।
খুব অল্প সময়েই, নায়িকার জায়গায় মায়ের চরিত্রে তিনি স্থানান্তর করে গিয়েছিলেন। এবং তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল রোজগার করা। অভিনেত্রী বলেন, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আপনি এত কম বয়সে মায়ের চরিত্রে কেন অভিনয় করেন। আমার একটাই উত্তর আছে তাদের প্রতি। টেলিভিশনে যখন আপনার মুখ প্রচণ্ড ওভার এক্সপোস হয়ে যায়, তখন আপনাকে নানান চরিত্র ট্রান্সফার করতে হয়। আমার কাছে এই সুযোগ ছিল না যে আমি অপেক্ষা করবো। কারণ আমাকে রোজগার করতেই হত। অভিনেত্রী বলেছিলেন, বাড়িতে ফিরে মাকে ওরকম অবস্থায় দেখে যেন কিছুই তার ভালো লাগতো না। নানান চেষ্টা করেও মাকে বাঁচাতে পারেননি। কিন্তু যে অসহনীয় কষ্ট তিনি ভুগেছেন, সেটা থেকে যে রেহাই পেয়েছেন এটাই অভিনেত্রীর কাছে শান্তির।