/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/cats-2025-08-24-18-17-13.jpg)
যাঁরা একটু ছোট পোশাক পরেন বা স্লিভলেস ড্রেস পরেন তাঁরা খারাপ? প্রশ্ন সৌমীর
সৌমি পাল
দিন কয়েকআগে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেখি। যেখানে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির একজন অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি ছোট জামা বা স্লিভলেস পোশাক পরতে স্বচ্ছন্দ নন। সেটা প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত মত। তবে একটা কথা আমার খারাপ লেগেছিল, শরীর বেচে নয় ট্যালেন্ট বেচে কাজ করি। এই জায়গায় আমার একটা প্রশ্ন, অভিনয় জগৎটা তো একটা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড। সেখানে তো গ্ল্যামার অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। আর গ্ল্যামার মানেই কিন্তু, শরীর প্রদর্শন নয়। আর যাঁরা একটু ছোট পোশাক পরেন বা স্লিভলেস ড্রেস পরেন তাঁরা খারাপ? ওই লাইনটা শুনে আমার মনে হয়েছে যাঁরা এইরকম পোশাক পরেন তাঁদেরকে কোথাও একটা ছোট করা হচ্ছে।
এবার আসি ট্যালেন্ট বেচার কথায়। অভিনয়ের জন্য ট্যালেন্ট অবশ্যই ফার্স্ট প্রায়োরিটি। ঠিক একইভাবে শরীরটাও। আর সেটা কী ভাবে? চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক অভিনেত্রীকেই ওজন বাড়াতে বা কমাতে হয়। উদাহরণ হিসেবে যদি দেখি, সম্প্রতি মিমি চক্রবর্তী রক্তবীজ ২-এ বিকিনি শুটের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন। অন্যদিকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বা দীপিকা পাডুকোন মা হওয়ার পর সিনেমায় কামব্যাক করতে ওজন ঝড়িয়ে আবার আগের মতো হয়ে গিয়েছেন। তাহলে চেহারা বা শরীর যেটাই বলা হোক না কেন অভিনয়ের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ তো?
আমরা যে পেশার সঙ্গে যুক্ত সেটা অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্ট ফর্ম। এখানে চেহারা-সৌন্দর্যের বিচারে চরিত্র নির্ধারণ হয়। আমি নিজের কথাই বলি। কয়েকদিন আগে আমি একটা অডিশন দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে বলা হল 'নট ফিট'। একবারও কিন্তু বলা হয়নি আমার ট্যালেন্ট নেই বলে কাজটা পেলাম না। আমি চরিত্রের জন্য ফিট নই তাই হয়নি। এখানে তো চেহারার জন্যই রিজেক্ট হলাম। শরীর বেচা মানেই সবসময় ভুল অর্থ নয়। স্থানবিশেষে অর্থ বদলে যায়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য শরীর বা চেহারা বেচাটা চরিত্রের জন্য মানানসই কিনা সেটা বোঝানো হয়। তাছাড়া আমি এই 'বেচা' শব্দটা উল্লেখ করেছি কারণ, ভিডিওতে ওই শব্দটারই উল্লেখ ছিল।
আমার একটা প্রশ্ন আছে। শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে সত্যিই গ্ল্যামার দুনিয়ায় টিকে থাকা যায়? আজ যদি আমার মুখে-হাতে-পায়ে অগণিত দাগছোপ থাকে বা অন্য কিছু হয় তাহলে আমি ট্যালেন্ট থাকলেও সুযোগ পাব? নিশ্চয়ই না। তাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শরীর বা চেহারা যাই বলুন না কেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার পোস্টে সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। কিন্তু, সেই পোস্টটিকে এমনভাবে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে যে আমার কিছু বলার নেই। আমি নিজের মতটুকু জানিয়ে মাত্র।
আরও পড়ুন
কেরিয়ারের শুরুতে মাকে হারিয়েছি। ২০২৩-এ বাবা চলে গেলেন। ব্যক্তিগতজীবনেও কিছু সমস্যার জন্য আমি অনেকদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলাম। তখন কিন্তু, আমাকে বলা হয়েছিল, চেহারার এ কী অবস্থা! আগে নিজেকে একটু ঠিক কর। এবার আমি স্নেহাশিষদার কথা বলতে চাই। অনেকে বলছে আমি নাকি স্নেহাশিষদার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে কথা বলেছি। যেটা আমি কখনও করিনি। উনি আমার কাছে দাদার মতো। গীতা এলএলবি-র সময় উনিই কিন্তু, আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। অনেকদিন পর যখন কাজের জন্য বলেছিলাম উনি কিন্তু আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তাই দয়া করে আমার মন্তব্যের ভুল ব্যখা করবেন না। আগামীতে কখনও সত্যি কথা বলার আগে দু'বার ভাবব।