২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কারফিউয়ের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তার দুদিন আগে থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে না বেরোতে। বাংলার তারকারা বিগত এক সপ্তাহ ধরেই তাঁদের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেছেন। ২১ মার্চ রাত থেকেই তাঁরা আবারও সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন জনতা কারফিউয়ের দিনে বাড়িতে থাকতে এবং প্রয়োজনে আরও বেশিদিন ঘরবন্দি থাকতে।
ভারত এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ফেজের দোড়গোড়ায়। এই ফেজটিতে সংক্রমণ শুধু একজনের থেকে আর একজনের সংস্পর্শে ছড়ায় না, বরং একটি গোটা সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস, প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই। সেই কারণেই জনতা কারফিউ এত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রী-লেখক-পরিচালকেরা বার বার তাই সোশাল মিডিয়ায় লিখছেন সেকথা।
আরও পড়ুন: করোনা সচেতনতায় ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ অভিনেতাদের বিশেষ ভিডিও
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী তাঁর সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে লিখেছেন, ''বাড়িতে থাকুন। প্লিজ বাড়ীতে থাকুন। দয়া করে বাড়িতে থাকুন। অনুরোধ করছি, বাড়িতে থাকুন। হাত জোড় করছি, বাড়িতে থাকুন।
অপরাধ নেবেন না। দয়া করে বাড়িতে থাকুন। খুব খুব খুউউব ইমার্জেন্সী না হলে বেরোবেন না।
নিজে বাঁচতে আর অন্যদের বাঁচাতে বাড়িতে থাকুন। আজ (রবিবার) তো অবশ্যই বাড়ি তে থাকবেন।
খুব দরকার না পড়লে কাল ও বাড়ি তে থাকুন। পরশুও। তরশুও। তার পরের দিনও। বাড়িতে থাকুন।
প্লিজ...... ????''
দেব, রুদ্রনীল ঘোষ, চিত্রনাট্যকার-অভিনেতা পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, প্রত্যেকেই তাঁদের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন নাগরিকদের। বেশি সংখ্যক মানুষ বাড়িতে থেকে কীভাবে করোনার সংক্রমণের এই চেনটি ভেঙে ফেলা যায়, তা একটি ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেব--
যাঁরা ব্যবসায়ী, তাঁদেরও বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেতা জিতু কমল। নিজের সোশাল মিডিয়া টাইমলাইনে তিনি লিখেছেন, ''প্লিজ প্লিজ প্লিজ ঘরে থাকুন। যাঁরা দোকানদার তাঁদেরকেও অনুরোধ, 'যাই গিয়ে দোকান টা খুলে বসি, কি আর হবে' এই মানসিকতা এই দুটো সপ্তাহের জন্যে বদলান... বেঁচে থাকলে আবার ব্যবসা হবে।''
আবার অভিনেত্রী পূজারিনী ঘোষের মতো অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে পরিচিতদের অনুরোধ করছেন, সতর্ক করছেন। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও তাঁর সোশাল মিডিয়া টাইমলাইনে লিখেছেন মানুষ যেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া নির্দেশাবলী মেনে চলেন। রবিবার সকাল থেকেই মোটামুটি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের রাস্তাঘাট শূন্য। ২২ মার্চের এই কারফিউ যদি সফল হয়, তবে হয়তো কিছুটা হলেও সংক্রমণকে প্রতিরোধ করা যাবে।