Birsa Dasgupta On Kasba Law College Gang Rape: কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ ক্যাম্পাসে রক্ষীর (গার্ড)ঘরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আরজি করের পর এই ঘটনায় তোলপাড় তিলোত্তমা। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কলেজেরই দু'জন ছাত্র এবং এক জন প্রাক্তনীকে। সেই প্রাক্তনী আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ টিএমসিপির সঙ্গে যুক্ত। ওই ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি বলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে। সেই জন্য নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কসবার আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সহ ধৃত চার জন ও নিরাপত্তারক্ষীকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রীকে ধর্ষণকাণ্ডে ফুঁসে উঠেছে নাগরিক সমাজ থেকে সেলেব মহলের একাংশ। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়ালেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। আরজি কর ঘটনার স্মৃতি উসকে জাতীয় ডাক্তার দিবসে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জিইয়ে রাখার কথাই বললেন। মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি পোস্টে বিরসা লিখছেন, 'কলকাতায় সম্প্রতি যিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন সাহসীকতার সঙ্গে প্রকাশ্য দিবালোকে বিচার চাওয়ার ক্ষমতা তাঁর অকুতোভয় চরিত্রেরই পরিচয়। আমি বিশ্বাস করি গত বছর ঘটে যাওয়া আরজি করের মতো মর্মান্তিক ঘটনায় নাগরিক সমাজের জোটবদ্ধ প্রতিবাদ এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।'
অভয়ার নাম উহ্য রেখে লিখলেন, 'তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলেন তাঁর কণ্ঠ সকলের কাছে পৌঁছে যাবে। জাতীয় ডাক্তার দিবসের শুভক্ষণে, আমি তরুণ ডাক্তার এবং আমার সহ-নাগরিকদের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। যাঁরা এখনও বিশ্বাস করেন যে এটি আনন্দের শহর, 'ভয়'-এর নয়, তাঁরা দয়া করে প্রকৃতঅর্থে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কখনও বৃথা যায় না।' এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুরকার অনিন্দ্য বসু। তাঁর সংযোজন, 'এই অসহ্য অশিক্ষিত নোংরা হিংস্র নির্লজ্জ প্রশাসণ ভাল্লাগচ্ছে না...তাবলে কোনো অন্য 'পার্টি' ভাববেন না...রাজ্যটার খুউব খারাপ অবস্থা...সহমত হলে জানাবেন। এটাও জানি, এই পোস্টের পর হয়তো আমার পেট চলবে না...।'
আরজি কর আন্দোলনে পথে নেমে সরকারের চক্ষুশূল হয়েছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় ফের সোচ্ছ্বার। সরকারকে একহাত নিয়ে লিখেছেন, 'শুধু ক্ষমতার আস্ফালন চতুর্দিকে।'পাওয়ার' এর অহংকার, পৌরুষের নির্লজ্জ প্রদর্শন। স্কুল, কলেজ, পাড়া, গ্রাম, শহর, বাজার, সাহিত্য, সিনেমা, কবিতা, টিভি, দপ্তর -- সর্বত্র। রাজনৈতিক ক্ষমতার চুড়ান্ত অপব্যবহার। উপর থেকে নীচে - সব জায়গায়। অসহ্য !!'
আরও পড়ুন 'কড়া আইনি পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার', 'কেশরি-২'-তে ক্ষুদিরাম বিতর্কে গর্জে উঠলেন চন্দন সেন