Silajit majunder and payel sarkar: ফের বড় পর্দায় কিংবদন্তী পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের জীবনী। এবার তাঁর চরত্রে অভিনয় করছেন শিলাজিৎ মজুমদার। বিভিন্ন স্বাদের চরিত্রে শিলাজিতের অভিনয় দর্শক দেখেছে। কিন্তু, ঋত্বিক ঘটকের মতো একজন মানুষের চরিত্রে অভিনয় নিঃসন্দেহে তাঁর শিল্পীসত্ত্বার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। তারই অপেক্ষায় আপামর বাংলা ছবির দর্শক। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শুভঙ্কর ভৌমিক। পরিচালক ও স্টার কাস্টের উপস্থিতিতে হয়ে গেল 'অলক্ষ্যে ঋত্বিক'-এর সাংবাদিক সম্মেলন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/de0e4684-861.jpg)
প্রবাদপ্রতিম পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের জীবনের অজানা গল্প বলবে 'অলক্ষ্যে ঋত্বিক'। চিত্র পরিচালক মিলন ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে তাঁর পুত্র পরিচালক শুভঙ্কর ভৌমিক এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন। সুরমা ঘটকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। কিংবদন্তী পরিচালক ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ছবিগুলি যুগে যুগে সমাদৃত। ভারতের মননশীল জীবনবাদী ছবির জগতে যাদের নাম আলোচিত হয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ঋত্বিক ঘটক।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/b00b2580-b5b.jpg)
চিত্র পরিচালনা ও কথাসাহিত্যে নয়, এসবের পাশাপাশি তিনি ছিলেন ভারতের পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ। প্রথম জীবনে তিনি কবি ও গল্পকার তারপর নাট্যকার, নাট্যপরিচালক, অবশেষে চলচ্চিত্রকার হিসাবে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম খোদাই করে রেখেছেন। বর্তমান প্রজন্ম দেখবে সেই ঋত্বিক ঘটকের জীবনের অজানা কাহিনি। আগামী ১৪ মার্চ মুক্তি পাবে 'অলক্ষ্যে ঋত্বিক'।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/871a8a54-784.jpg)
ঋত্বিক ঘটক নামটাই মহাসমুদ্র। সেখান থেকে কিছুটা অংশ নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের জার্নি অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৫০ বছরে ঋত্বিক ঘটকের জমানায় তৈরি হওয়া স্বর্ণযুগের প্রেক্ষাপটেই গল্প বুনেছেন পরিচালক শুভঙ্কর। বইয়ের পাতা থেকে প্রবাদপ্রতীম পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের সম্পর্কে মানুষের সম্যক ধারণা রয়েছে। এর মাঝেও রয়ে গিয়েছে অনেক অজানা গল্প। তিনি কী কী কাজ করেছিলেন এবং কোন কোন বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে থেকে অজানা দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/a510b81b-76c.jpg)
ঋত্বিক ঘটকের চরিত্রের জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন শিলাজিৎ মজুমদার। আর স্ত্রীর চরিত্রের জন্য তাঁর পারফেক্ট চয়েজ ছিলেন পায়েল। এই চরিত্রের প্রস্তাব পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন শিলাজিৎ। এত কঠিন চরিত্রে অভিনয় করার মতো আত্মবিশ্বাসী নন। কিন্তু, পরিচালকের কথায় শেষ পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি হন। এক মাস ধরে চলে মেক-আপ টেস্ট। কোনও না কোনও জায়গায় খামতি থেকে যাচ্ছিল। পরে দুইয়ে দুইয়ে চার করে শুটিং ফ্লোরে পর্দার ঋত্বিক অর্থাৎ শিলাজিৎকে নিয়ে নেমে পরেন পরিচালক।
সাংবাদিক সম্মেলনে ঋত্বিক ঘটকের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে পায়েল তাঁর চরিত্রের জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানান। এই ছবিতে অভিনয় করে পায়েলের উপলব্ধি, ঋত্বিক ঘটকের মতো একজন অসাধারণ মানুষ যাঁ কাছে ব্যক্তিত্বই শেষ কথা তাঁর জীবনের লড়াইয়ের সঙ্গী চারপাশের মানুষগুলোও। এই ছবি বর্তমান প্রজন্মকে পুরনো দিনের নস্ট্যালজিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী পায়েল।