Bengali Film and TV besties: বাংলা বিনোদন জগতে এমন বেশ কিছু বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে যার কথা বলতেই হবে বন্ধুত্বের দিনে। ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে পালন করা, না করা নিয়ে বিবিধ মতামত থাকতে পারে। একথা ঠিক যে বন্ধুত্বের কথা বলার জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণের প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশেষ দিনে বিশেষ সাজের মতোই বিশেষ দিনে বিশেষ বন্ধুত্বকে বিশেষ ভাবে সেলিব্রেট করা উচিত অবশ্যই।
টেলি ও টলিপাড়ার তারকাদের বন্ধুত্বের কথা বহু আলোচিত। আরও একবার দেখে নেওয়া যাক সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর বন্ধুত্বগুলির কয়েকটি--
মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান-- এই মুহূর্তে এই দুই তারকার বন্ধুত্বের কথা দিয়ে শুরু করতেই হবে কারণ বাংলা ছবির গণ্ডি পেরিয়ে এই বন্ধুত্ব এখন পোক্ত হচ্ছে রাজনীতির ময়দানে। শুটিং-মেকআপ-ফোটোশুট নিয়ে হাজারো কথা, সম্পর্কের ওঠাপড়া ইত্যাদি পেরিয়ে দুজনেই এখন সাংসদ। নাম নথিভুক্তকরণ, শপথগ্রহণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক যাত্রার প্রায় প্রত্যেকটি মুহূর্তেই দুজন দুজনের পাশে রয়েছেন, দুজন দুজনকে আঁকড়ে রয়েছেন বলা যায়।
আরও পড়ুন: Friendship Day: বলিউডের বেস্টি কারা, কে কার কত প্রিয়? এক নজরে অটুট বন্ধুত্ব
যিশু সেনগুপ্ত ও সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়-- এই বন্ধুত্ব অনেক বছরের। কাজের সূত্রে দুজন যতটা সংযুক্ত পরস্পরের সঙ্গে, ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও তাই। বাংলা ছবির জগতে দুজনের বন্ধুত্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান 'এক যে ছিল রাজা'। আগামী দিনে পরিচালক ও অভিনেতার এই বন্ধুত্ব আরও কিছু তাৎপর্যপূর্ণ উপহার দেবে বাংলা ছবির জগতকে, আশা করা যায়।
চান্দ্রেয়ী, মল্লিকা, রুকমা, গীতশ্রী, শ্রীতমা, সায়ন্তনী-- টেলিপাড়ার সবচেয়ে বড় এবং উল্লেখযোগ্য গার্ল গ্যাং। বয়সের তারতম্য সত্ত্বেও এঁদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। এই ফ্যাশনেবল গ্যাংকে দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে 'সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি'-র সেই চার বান্ধবীকে। এঁরাও পরস্পরের পাশে ঠিক সেভাবেই থাকেন।
আরও পড়ুন: পর্দায় আবার উজান-হিয়ার প্রেম! নতুন রূপে ‘এখানে আকাশ নীল’
রাজ চক্রবর্তী ও নীল রায়-- মডেলিং ও ট্যালেন্ট হান্ট সংস্থা 'ফেস'-এর প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার নীল রায় ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর বন্ধুত্বটা পেশাগত কম, পারিবারিক বেশি। রাজ-শুভশ্রীর বিয়ের ব্যবস্থাপনার সিংহভাগ দায়িত্ব নিয়েছিলেন নীল রায়। প্রত্যেকটি স্ত্রী আচারেই সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আবার তেমনই 'ফেস'-এর প্রায় প্রত্যেকটি ইভেন্টেই নীলের পাশে থাকেন রাজ-শুভশ্রী।
তৃণা সাহা ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য-- এই বন্ধুত্ব নিয়ে বোধহয় সবচেয়ে বেশি গসিপ হয় টেলিপাড়ায়। শুধুই বন্ধুত্ব নাকি প্রেম, সেই নিয়ে দুজনের ফ্যানেদের মধ্যেও জল্পনা কম নেই। দুজনেরই বক্তব্য, সম্পর্কটা অত্যন্ত গভীর এক বন্ধুত্বের এবং সেটা সত্যিই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কোনও শর্ত ছাড়াই দুজন দুজনের পাশে থাকেন। এর পরে আর সম্পর্ককে কোনও নাম দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি?