বছর খানেক ধরেই টেলিভিশনের পর্দায় দর্শকদের হাসানোর কাজ করে চলেছেন ভারতী সিং। দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত 'লাফটার ক্যুইন' বলে। কিন্তু সেই মানুষটিকেও শৈশব কাটাতে হয়েছে বহু কষ্টের মধ্য দিয়ে। আজকের এই সাফল্য, অর্থ, খ্যাতি সহজে আসেনি ভারতীর জীবনে। তার জন্যে বহু সাধ্য সাধনা করতে হয়েছিল। কীভাবে কেটেছিল অর্থকষ্টে অতীতের সেই সব অভাবের দিনগুলো? সম্প্রতি মণীশ পালের পডকাস্ট-এ শোনালেন ভারতী সিং।
Advertisment
'লাফটার ক্যুইন' জানালেন, একটা সময়ে এরকমও দিন গিয়েছে যে শুধু নুন-রুটি খেয়ে থাকতে হয়েছিল। ভাই কাজ করত একটা ছোট্ট দোকানে। আর মা ও দিদি একটা ফ্যাক্টরিতে কম্বল সেলাই করে উপার্জন করত। পাশাপাশি উপরি আয়ের জন্য তাঁর মাকে লোকের বাড়িতে রান্নার কাজও করতে হয়েছে। অনেকবার বাড়িতেও অনেক বড় বড় কম্বল এনে সেলাই করতে দেখেছেন ওঁদের।
ভারতী বলছিলেন, "বাড়ি যেতে ইচ্ছে করত না। তার থেকে আমি হোস্টেই বন্ধুদের সঙ্গে দিন কাটাতাম। কারণ বাড়ি গেলেই তো সেইসব অর্থকষ্ট দেখে মন খারাপ হবে। ওই টিম টিমে ঘরের আলোয় থাকতে হবে। এরকম দিনও গেছে, যেদিন আমরা বাড়িতে শুধু লাল চা বানিয়ে পরোটার সঙ্গে খেয়েছি। সবজি কেনার টাকাও ছিল না। এখনও আমার মা যদি সবজিওয়ালার কাছ থেকে ফ্রিতে ধনেপাতা পান, খুশি হন।"
মণীশের শোয়ে এসব স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ভারতী সিং। বলেন, "মাকে কখনও কখনও দেখেছি মাতারানির লাল ওড়না সেলাই করতে। বাড়িতে দিনরাত সেলাই মেশিনের আওয়াজ হত। ২১টা বছর সেই শব্দ নিয়ে আমাকে কাটাতে হয়েছে। আজ অবধি সেই সেলাই মেশিনের আওয়াজ আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। আমার কোনও বড় স্বপ্ন নেই, কিন্তু আমি চাই, যেটুকু আমি জীবনে উপার্জন করতে পেরেছি, সেটা যেন বজায় রাখতে পারি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন