/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/bhaswar.jpg)
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
যৌনকর্মীরাও দশভূজা.. মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নিষিদ্ধপল্লির মহিলাদের দেখলে তথাকথিত সভ্য সমাজ যেমন দূর-ছাই করে। কেউ বা বলেন- 'ওদের ছোঁয়া লাগাও পাপ..।' ভাস্বর সেখানে ব্যতিক্রম। পতিতাপল্লীর খেটে খাওয়া নারীদের তিনি নিজের দিদি-বোনদের মতোই সম্মান করেন। আর তাই তো ভাইফোঁটার এই পুণ্য তিথিতে সোনাগাছির দিদিদের কাছে ফোঁটা নিতে চলে গিয়েছেন অভিনেতা।
টলিপাড়ার তারকারা যখন জাঁকজমক করে ভাতৃদ্বিতীয়া পালন করছেন, তখন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সোজা চলে গিয়েছেন সোনাগাছিতে। সেখানেই ভাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে শামিল হলেন অভিনেতাও।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/bhaswar1.jpg)
<আরও পড়ুন: নুসরত-সায়ন্তিকা, সায়নীদের সঙ্গে মিঠাই-গুনগুনরাও তৃণমূলের ভাইফোঁটা আসরে>
নিষিদ্ধপল্লির মহিলাদের কাছে যেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় তাঁদের ভাতৃ-সমই হয়ে উঠেছেন। এপ্রসঙ্গে অভিনেতার কী মন্তব্য? ভাস্বর বলছেন, "দিদিরা সব ফোঁটা দিল। অল্প সময় হলেও ওঁদের নির্মল হাসি আমাকে খুব আনন্দ দেয়। ওই হাসিটুকুর জন্যই ওঁরা বাঁচে। ভাইফোঁটার পর ছবি তুললাম সকলে একসঙ্গে। ওখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে রিলসও বানিয়েছি। বেশ মজা হয়েছে।"
এই অবশ্য প্রথম নয়, গতবছর অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই নিষিদ্ধপল্লিতে ছুটে গিয়েছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সমাজের চোখে যারা নীচুস্তরের, সেই মানুষগুলোর রোজগার বন্ধ হওয়ায় দুবেলা ঠিক করে খাবারও জুটছিল না। সেইসময়েও অভিনেতা চাল, ডাল, নিত্য প্রয়োজনীয় রেশন নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সেখানকার কচিকাঁচাদের সঙ্গে ভাবও জমান তিনি। সেইসময়ই যৌনকর্মীদের কাছে ভাইফোঁটা নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবছর সেটা পূরণও করলেন।