এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এখনও এরকম বহু কন্যাসন্তান রয়েছে, যারা পড়ার সুযোগ পায় না। শৈশবেই তাঁদের হাতে বই-খাতার পরিবর্তে কখনও হাতা-খুন্তি, আবার কখনও বা পরিবারের পেটের খুদে মেটাতে তাঁদের নামতে হয়েছে অন্নসংস্থানের জন্য। তবে সমাজের অগ্রগতির জন্য কন্যাসন্তানকে শিক্ষাপ্রদান করা যে অতি জরুরী, তা বলাই বাহুল্য। তবে এর প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও, সচেতনতার অভাব। আর সেই ভাবনা থেকেই ময়দানে নামলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee)। নিলেন এক দুঃস্থ কাশ্মীরি মেয়েকে পড়ানোর দায়িত্ব।
Advertisment
উল্লেখ্য, বাংলায় অনেক আগেই কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের লক্ষাধিক ছাত্রী এতে উপকৃত হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও চালু করা হয়েছে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্প। অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও সেই উদ্যোগে শামিল হলেন এবার। সুদূর কাশ্মীর রাজ্যের এক মেয়ের পড়ার ভার নিলেন তিনি। ভাস্বর তাঁর মায়ের নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলেছেন, যার নাম অপর্না ফাউন্ডেশন।
কিন্তু কাশ্মীর কেন? এপ্রসঙ্গে ভাস্বর জানিয়েছেন, বাঁকুড়ার ছেলে হওয়ার সুবাদে তিনি চাইছিলেন সেখানকারই কোনও দুঃস্থ মেয়ের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু সেখানে খুঁজেও এমন কাউকে পাননি। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সব অভাবপূরণ করেছেন। তবে কাশ্মীরে গিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, সেখানকার মেয়েরা এখনও খানিক পর্দানসীন। পিছিয়ে রয়েছে। পরিবারের তরফ থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পড়াশোনা। বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাড়াতাড়ি। সমাজের মূলস্রোতে তাঁদের ফেরাতে হলে দরকার শিক্ষার। সেই ভাবনা থেকেই এমন উদ্যোগ।
ভাস্বরের বহু বন্ধু রয়েছেন কাশ্মীরে। সেখানেই খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন চটুর্থ শ্রেণীতে পড়া এক মেয়ের কথা। তার বাবার আর্থিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। পড়াশোনা চালানোর ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। যে কোনও সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওই মেয়েটির পড়াশোনা। তাই নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অপর্না ফাউন্ডেশনের তরফে ওই দুঃস্থ মেয়েটির পড়াশোনা দায়িত্ব নিলেন ভাস্তব চট্টোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন