/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/29/paras-chabra-shefali-2025-06-29-13-28-32.png)
শেফালিকে নিয়ে ভাইরাল পরশের ভিডিও...
Shefali Jariwala Death: একটাই গান- কাঁটা লাগা, পরনে নীল রঙের পোশাক। এবং আইকনিক মেকাপ শেফালি যেন রাতারাতি হয়ে উঠলেন রিমিক্স কুইন। তাঁর সেই নাচ এবং এক্সপ্রেশন মানুষের মন তো জয় করে নিলই, সঙ্গে সঙ্গে তিনি পপ কালচারের আইকন হয়ে উঠলেন। সেই মানুষটাই ৪২ বছরে প্রয়াত। এবং, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে অনেককিছুই। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং নানা ধরণের মানসিক সমস্যার মধ্যেও ছিলেন।
শেফালি তাঁর জীবনে নানা চরাই উৎরাই দেখেছেন। জীবনে দু-বার বিয়ে, কেরিয়ারে নানা ডাউনফল সবকিছুই দেখেছেন তিনি। কিন্তু, ভাগ্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পিছপা হননি। তাঁর সামনাসামনি দাঁড়িয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। শেফালির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকে নানা ধরণের আলোচনায় মগ্ন। শেফালি আচমকা যেভাবে চলে গেলেন নানা প্রশ্ন উঠছে। এবং তাঁর এই মৃত্যুর প্রসঙ্গ কিন্তু আগেও উঠেছে। সেই ভিডিও ভাইরাল।
বিগ বস ১৩ থেকে তিনি আবারও জনপ্রিয়তা পান। সেখানেই পরশ ছাবড়া, নিজেও ছিলেন। তিনি বর্তমানে জ্যোতিষবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত। তিনি ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়েছেন এখন। মাঝেমধ্যেই তিনি বৃন্দাবনে চলে যান। এবং, তিনি চেষ্টা করেন ঈশ্বর সাধনায় ব্রতী থাকতে। কিন্তু, পরশ নাকি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। কয়েকমাস আগে, শেফালি এসেছিলেন পরশের সেই অনুষ্ঠানে। তিনি জানিয়েছিলেন জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাস করেন না কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস আছে। পরশ যিনি এখন জ্যোতিষ চর্চা করেন শেফালির সঙ্গে খারাপ কিছু হতে চলেছে তাঁর কুণ্ডলী দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন?
সেই ভিডিওতে অভিনেতা বলেছিলেন তাঁর যে দশা চলছে তাতে অনেক কিছুই হতে পারে। অনেককিছু হারাতে পারে কিংবা হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কাও করেছিলেন পরশ। সেই ভিডিও গতকাল থেকে ভাইরাল। তাহলে কি পরশের করা ভবিষ্যদ্বাণী একেবারেই সত্যি হল? এখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন, পরশ যখন বুঝতে পারছিলেন তাহলে তিনি বন্ধুকে বাঁচাতে কিছু করলেন না কেন। এদিকে, গতকাল অভিনেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন পরশ। এবং সেখানে তাঁকে রীতিমতো রেগে যেতে দেখা যায়। একটি মিডিয়া রিপোর্টের তরফে প্রয়াত শেফালির স্বামী পরাগকে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াতে দেখা যায়। তাতেই বেশ ক্ষুব্ধ অভিনেতা রীতিমতো আক্রমণ করেন সংবাদমাধ্যমকে।
প্রসঙ্গে শেফালির অকাল প্রয়াণে পরশ তাঁর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন যে, "সময় বড়ই অদ্ভুত। কখন কী হয়, সেটা মানুষ জানতেই পারে না।"