Shefali Jariwala Last Wish: মাত্র ৪২ বছরেই সব শেষ! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন 'কাঁটা লাগা' গার্ল শেফালি জারিওয়ালা। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে টিনসেলটাউনে। রূপোলি দুনিয়া থেকে দূরে থাকলেও দু'দশক আগের কাঁটা লাগা গার্ল ইমেজটাই সকলের মনে আজও গেঁথে রয়েছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে শেফালির বোল্ড ডান্স মুভস, শরীরী বিভঙ্গ বা বুকের ট্যাটুতে একপ্রকার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এই গানেই রাতরাতি স্টার হয়ে যান শেফালি। ২০০০ সালের সেই মিউজিক ভিডিওর জৌলুস আজও বিন্দুমাত্র ফিকে হয়নি। এইরকম আরও একটি কাজ করার ইচ্ছে ছিল শেফালির। কিন্তু, সেই ইচ্ছে অধুরাই রয়ে গেল! আক্ষেপ নিয়েই মৃত্যুকে বরণ করে নিলেন কাঁটা লাগা গার্ল।
কাঁটা লাগা মিউজিক ভিডিও-র পরিচালক বিনয় সপ্রু সম্প্রতি মিড ডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, মৃত্যুর ঠিক ২০ দিন আগে শেফালির সঙ্গে তাঁদের (বিনয় ও রাধিকা) দেখা হয়। তাঁরা দুজনেই ছিলেন কাঁটা লাগার মিউজিক ভিডিও-র পরিচালক। এই মিউজিক ভিডিও-র মতো আরও একটি কাজ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন শেফালি, যা আগামী ২০ বছর মানুষের মনে থেকে যাবে। শেফালির মৃত্যুতে গভীরভাবে প্রভাবিত পরিচালকদ্বয়। এই মিউজিক ভিডিও-র জন্য তাঁরা কী ভাবে শেফালি-কে কাস্ট করেছিলেন সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল বারবার। অভিনয়ের কিছুই জানতেন না, কিন্তু, তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী শেফালি ছিলেন পারফেক্ট চয়েজ। বাকিটা তো ইতিহাস।
বিনয় বলেন, 'ওঁর চলে যাওয়ার ২০ দিন আগেই আমাদের দুজনের সঙ্গে দেখা হয়। দুদশক পরও কাঁটা লাগা যেমন জনপ্রিয় ও আইকনিক গানে পরিণত হয়েছে তার জন্য ও ভীষণ গর্বিত। এইরকম আরও কিছু কাজ করতে চেয়েছিলেন যা আরও ২০ বছর মানুষ মনে রাখবে।' মৃত্যুর আগে আরও একটি আক্ষেপ ছিল শেফালির। মা হতে চেয়েছিলেন কাঁটা লাগা গার্ল। কিন্তু, তঁর মনের ইচ্ছেটাকে প্রথমে বোঝেননি স্বামী পরাগ ত্যাগী। পরে অবশ্য তিনি নিজেও একটি হাসি-খুশি পরিবার চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন 'পরিবার আমার সঙ্গে...', আক্ষেপ নিয়েই চিরবিদায়! মৃত্যুর আগে শেষ কী ইচ্ছে ছিল শেফালির?
বলিউডলাইফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেছিলেন, 'কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছেটা দীর্ঘদিনের। তবে এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য দুজনেরই সম্মতি প্রয়োজন। প্রথমে পরাগ না বুঝলেও যখন বিগ বস ১৩-এ অংশ নিয়েছিলাম তখন আমার স্বামীর মনেও এই বাসনা জেগেছিল যে এবার একটা পরিবার প্রয়োজন। আমার যখন বয়স মাত্র ১০-১২ বছর তখন থেকেই খুব ইচ্ছে ছিল আমি একটা ছোট্ট মেয়ে দত্তক নেব। মা-বাবাকেও সেই কথা বলেছিলাম।'
সেই সাক্ষাৎকারেই শেফালি আরও বলেছিলেন, 'দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি মোটেই খুব একটা সহজ নয়, প্রচুর আইনি জটিলতা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ পুঙ্খানুপুঙ্খ সবকিছু তদন্ত করে। দম্পতির শারীরিক অবস্থা, তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন সেই বিষয়গুলো খুটিয়ে দেখা হয়। অসংখ্য পেপারওয়ার্ক আর কাউন্সিলিংয়ের ঝক্কি। অন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হয়। দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমার পরিবার দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্তে সহমত ছিল না। তবে আমার মনে হয় সেই সময় যদি ওঁরা আমার পাশে থাকত ভালই হত। দত্তক নেওয়া অনেকেই মেনে নেন না। এমন অনেক শিশু রয়েছে যাদের ভালবাসা প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন স্নায়বিক রোগে ভুগছিলেন শেফালি? অতিরিক্ত ওষুধ সেবনই কাড়ল প্রাণ! কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?