সত্তরের দশক। তোলপাড় কলকাতা। গোটা ভারতে যেখানে জরুরী অবস্থা চলছে, সেখানে বাংলায় এক অন্য আন্দোলনের অভ্যুত্থান- নকশাল আন্দোলন। আর সেই উত্তাল সময়েই যেখানে বাতাসে বারুদের কাঁচা গন্ধ, খেলনা বন্দুক হয়ে উঠছে জীবন্ত, সেরকম এক প্রেক্ষাপটেই প্রেম-সম্পর্কের ছবি তৈরি করতে চলেছেন বিরসা দাশগুপ্ত।
সিনেমার নাম 'হাওয়া বন্দুক'। গল্পটা কীরকম? সত্তরের উত্তাল সময়ে কলকাতায় বরানগরের এক ছা-পোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রুকু যৌবনে পা রাখে। যৌবনে পা রাখা সেই ছেলেটির চারপাশ যেন আচমকাই বদলে যায়। রাজনৈতিক হিংসা, রক্তারক্তিতে সবকিছু জটিল হয়ে যায় তার কাছে। ওদিকে বুকে দিন পরিবর্তনের স্বপ্নে বুক বাধা রুকুর বন্ধু বিলুর সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় রুকুর ছোটবেলার হিরো, অনুপ্রেরণা শঙ্করদার। আচমকাই খেলনা বন্দুক তাদের কাছে হয়ে ওঠে জীবন্ত। এরই মাঝে প্রেম-ভালবাসা। শঙ্করদার অপেক্ষায় দিন কাটায় মোহর। আর ওদিকে রুকুর সঙ্গী ঝিনুক। এরপরই এক রক্তারক্তি, হানাহানিতে বদলে যায় পাঁচ চরিত্রের জীবন।
<আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরেও সুস্মিতাকে আগলে রাখছেন প্রাক্তন রোমান, ভক্তরা বলছে, ‘প্যাচ-আপ হোক’>
সত্যজিৎ রায় কিংবা মৃণাল সেনদের মতো পরিচালকদের সিনেমায় একাধিকবার সত্তরের জ্বলন্ত প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এবার বিরসার ফ্রেমে উঠে আসবে এক ভিন্নস্বাদের গল্প। তবে প্রেক্ষাপট সেই নকশাল আন্দোলনই। তবে পরিচালকের যদিও 'নকশাল' শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে। 'হাওয়া বন্দুক'-এর গল্প সাজিয়েছেন স্মরণজিৎ চক্রবর্তী।
কাস্টিংও তুখড়। বিরসার মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্ত ও স্ত্রী-অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী তো রয়েছেনই। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অঙ্কুশ, ঐন্দ্রিলা, ঋদ্ধি সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৌশিক সেন। রুকুর চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋদ্ধি। ঝিনুকের ভূমিকায় মেঘলা। শঙ্করদার চরিত্রে অঙ্কুশ। আর তার প্রেমিকা মোহরের চরিত্রে ঐন্দ্রিলা। আর বিলুর ভূমিকায় দেখা যাবে রাহুলকে।
পুজোর পর শুরু হবে 'হাওয়া বন্দুক'-এর শুটিং। তার আগে অবশ্য মে মাসে একটি হিন্দি ওয়েব সিরিজের কাজে হাত দেবেন বিরসা দাশগুপ্ত। সিনেমার ক্যামেরার দায়িত্বে শুভঙ্কর ভড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন