Nabobarsha Exclusive: ১৮ বছর পর আমার ছেলে যদি বলে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনেনি, এই দায় আমার : বিশ্বনাথ বসু
Biswanath Basu: এমনিও তিনি প্রচণ্ড খেতে ভালবাসেন, আর নববর্ষ খাওয়াদাওয়া ছাড়া একেবারেই সম্পূর্ন না। কিন্তু, বিশ্বনাথ যেন নস্টালজিয়ায় ভাসলেন। এমনিও বাঙালি চূড়ান্ত নস্টালজিক। আর কী কী বললেন নববর্ষ নিয়ে?
Biswanath Basu: এমনিও তিনি প্রচণ্ড খেতে ভালবাসেন, আর নববর্ষ খাওয়াদাওয়া ছাড়া একেবারেই সম্পূর্ন না। কিন্তু, বিশ্বনাথ যেন নস্টালজিয়ায় ভাসলেন। এমনিও বাঙালি চূড়ান্ত নস্টালজিক। আর কী কী বললেন নববর্ষ নিয়ে?
Naboborsha Exclusive: নববর্ষ মানেই নতুন করে শুরু। জীবনের নানা অধ্যায়ে বাঙালি নানা উৎসব উদযাপন করে, কিন্তু নববর্ষ যেন শুধুই বাঙালিদের উৎসব। নববর্ষ মানেই যেন আলাদাই এক অনুভূতি। অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, যিনি সারাবছরের জন্য বাঙালি, তাঁর কাছে কিন্তু ছোটবেলার নববর্ষ এবং বড়বেলার নববর্ষের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তিনি বেড়ে উঠেছেন গ্রামে। সেইসব নিয়েই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন তিনি।
Advertisment
এমনিও তিনি প্রচণ্ড খেতে ভালবাসেন, আর নববর্ষ খাওয়াদাওয়া ছাড়া একেবারেই সম্পূর্ন না। কিন্তু, বিশ্বনাথ যেন নস্টালজিয়ায় ভাসলেন। এমনিও বাঙালি চূড়ান্ত নস্টালজিক। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের মিল খুঁজে পাওয়া তাঁদের কাছে সম্ভব না। আর কী কী বললেন নববর্ষ নিয়ে?
গ্রামে বেড়ে ওঠা থেকে শহরের পরিবেশে বসবাস, নববর্ষের পার্থক্য কী দেখলেন?
সবকিছুর পার্থক্য আছে। অমিতাভ বচ্চন, যে সত্তর দশকে অভিনয়ে আসার পর বলেছিলেন, আগে ভাল সিনেমা হত, এখন হয় না। এটা চিরকালীন। আমরা অতীত প্রিয়। নস্টালজিয়া আমাদের সু - রোগ। আমাদের গ্রামের নববর্ষ মানে, অন্ধকার টিমটিম করে আলো জ্বলছে। ওই লাল নীল জলগুলো দিত, যেগুলোতে জিভ রং হয়ে যেত। মিহিদানা খেতাম মনে আছে। বাবার সঙ্গে হাত ধরে ধরে দোকানে দোকানে যেতাম। বাবাও আর নেই। কলকাতা শহরের নববর্ষ মানে, একটা রেস্তোরাঁতে গেলাম একটু খেলাম দেলাম। ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটালাম। রাতে একটা অনুষ্ঠানে গেলাম, সেখানে পারফর্ম করলাম। বাঙালি আছে, কিন্তু কোথাও যেন সমস্ত রকমের কালচারের একটা সংমিশ্রণ তৈরি হয়েছে। বাকি প্রত্যেকে কিন্তু নিজেদের কালচারটা ধরে রেখেছে। সাউথ ইন্ডিয়ান বলো, পাঞ্জাবি বলো কিংবা ওড়িশার মানুষরা, বাঙালি আসলে একটু অনুকরণ প্রিয়। আমাদের প্রচুর বাংলার গান আছে। কিন্তু আমরা অন্য ধরনের গানও শুনি। যদিও আমি এই ঘটনা যেন নিজেকেই দায়ী করব। আমার ছেলেরা যদি ১৮ বছর পর প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না শোনে, তাঁকে না চেনে, তাহলে সেই দায় আমার। সিনেমা প্রসঙ্গে যদি বলে পলাতক আমি দেখিনি, তাহলে এই দোষ আমার ছাড়া কারো নয়।
ওহ বাবা! একটাই রুটিন ছিল আমাদের। আমাদের একটা বড় পুকুর ছিল। সেখান থেকে আমাদের মাছ আসতো বছরে ৬দিন মত। পহেলা বৈশাখের দিন সে পুকুর থেকে মাছ আসতো। দুপুরবেলা আমাদের বাড়িতে চড়ুই হয়। যাদের বাড়িতে গরু থাকে তাদের বাড়িতে ওই দিনকে ভগবতী পূজা হয়। তখন আমাদের বাড়িতে গরু ছিল না, কিন্তু ভগবতী পূজা হতো। আমাদের চারটা গরু আছে। নতুন আসছে আরেকজন। আমাদের বাড়িতে দুপুরবেলা নববর্ষের খাবারের মধ্যে মাস্ট ছিল, ভাত, আম ডাল, ভাজা, ইঁচরের তরকারি।
বিশ্বনাথ কি নববর্ষের দিন আদ্যোপান্ত বাঙালি?
নববর্ষ না! বিশ্বনাথ পুরোটাই বাঙালি। সারাবছর ধরে আমি পাঞ্জাবি পড়ি। আমি বাঙালি খাবার খাই, বাঙালি বই পড়ি। আমি এমন মানুষ, যে বাঙালি হিসেবেই থাকতে চাই। আমি বাঙালি ছাড়া আর কিছুই নেই। দিনের শেষে আমার একটাই কথা, ভাত ডাল থাকুক, এবং সঙ্গে মাছ একটু আছে কি?