Biswanath Basu News: বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মজার মানুষ বিশ্বনাথ বসু। সিরিয়াল হোক বা সিনেমা, তাঁর উপস্থিতি হাসি ফোটায় দর্শকের মনে। এবার সেই মানুষটাই পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে একেবারে হুলস্থূল কাণ্ড। জুতো পরে মাল্যদানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল মেদিনীপুরে। টলিপাড়ার সিনিয়ার স্টারকে হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বিশ্বনাথ বসুর মতো একজন হাসি-খুশি মানুষ। তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে আর তার নেপথ্য কারন কী তা জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
বিশ্বনাথ বসু হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে বললেন, 'মেদিনীপুরে পাহাড়িচকে ২৫ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মঞ্চে ওঠার আগে তো কাস্টিং বাজে যে স্টেজে এবার বিশ্বনাথ বসু আসছেন। গাড়ি থেকে নামার পর আমার যে দুজন বাউন্সার ছিল ওঁরা বলে দাদা নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে বলছে। আমি শুনেই বলেছি হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তখন একদিকে কাস্টিং বেজে গিয়েছে, হাতে একদম সময় নেই আর তার মধ্যে বেশ ঠান্ডা। আমিও ভেবেছিলাম জুতোটা খুলেই যাই। কিন্তু, তাড়াহুড়োতে সেটা আর হয়নি। কিন্তু আমি নেতাজির প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন করে মালা পরিয়ে প্রণাম করি। সকলে মূর্তিতে ফুল ছুঁড়ে দিল। স্টেজে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটাও সুন্দভাবে হয়।'
অভিনেতার সংযোজন, 'আমাকে যে অর্গানাইজার স্টেজে নিয়ে গিয়েছিলেন মলয় রায় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এটা আমি একদম মেনে নিতে পারিনি। ২১ বছরের কেরিয়ারে এটা কখনও মেনে নিইনি যে আমার সঙ্গে কর্মরত অবস্থায় কেউ মদ্যপ থাকবে। অনুষ্ঠান শেষের পর যখন গাড়িতে উঠব তখন মলয় এসে আমাকে বলেন সেক্রেটারি একটু কথা বলবে। তিনিও একই অবস্থায় ছিলেন। আমাকে বললেন, জুতো পরে কেন মালা পরালেন? আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছি হ্যাঁ, ওটা আমার ভুল হয়েছে। ক্ষমা চাইছি। তখন ওঁদের মুখ থেকে এত গন্ধ বেরচ্ছে যে আমি বলতে বাধ্য হই একটু দূরে যান আমি থাকতে পারছি না। তারপরই হঠাৎ রেগে যান।'
বিশ্বনাথ যোগ করেন, 'ওঁরা আমাকে বলতে শুরু করেন, পয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছি তোকে। হাতে টাকা নিয়ে ওইভাবে বলছে। আমি তো এখনও ভাবতে পারছি না এতটা রাগের কারন কী। ওঁরা বলছিলেন, চলে যাওয়ার আগে সবার সঙ্গে ছবি তুলে যেতে হবে, আবার খালি পায়ে মালা পরাতে হবে আর স্টেজে উঠে নিঃস্বার্থ ক্ষমাও চাইতে হবে। আমি সেটা করিনি। মাটিতে বসে পরেছিলাম। যখন গাড়িতে উঠে আসতে যাব সেই সময় সেক্রেটারি লাফ দিয়ে এসে এমন করল...!! আমি মরেই যেতাম। মেরে ফেলত আমাকে। যা পরিস্থিতি হয়েছিল আমি সত্যিই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।'
অভিনেতার সংযোজন, 'ওঁরা এতটাই মদ্যপ ছিলেন যে কোনও হিতাহিত জ্ঞান ছিল না। মদ এমন জায়গায় মানুষকে পাঠিয়ে দিচ্ছে...। আমি শেষে কান ধরেছি। পাড়ার মধ্যে ওঁদের সঙ্গে আমার বাউন্সারেরও কিছু করার ছিল না। এই ঘটনা থেকে আমার একটা উপলব্ধি হয়েছে, আগে বুঝেছি আজ যেন আরও বেশি বুঝছি। আমার না মনে হয়, মানুষ আজকাল খুব রেগে থাকছে। যার জন্য এইরকম ঘটনাগুলো ঘটছে। রাগের বশবর্তী হয়ে এমন কিছু ঘটিয়ে ফেলছে যা নিয়ে পরে আপশোস করছে।'