দুই বন্ধুর মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও, বিপদের দিনে ব্যক্তি কাঞ্চনের পাশেই দাঁড়ালেন রুদ্রনীল ঘোষ। রবিবার এক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমি ব্যক্তি কাঞ্চনকে চিনি। অর মতো সাদামাটা মানুষ খুব কম আছে। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেউ ওকে ভুল বোঝাচ্ছে না তো?’ এই উদ্বেগের পাশাপাশি পিঙ্কি ও কাঞ্চন দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে ফের এক ছাদের তলায় আসবে, এমনটাই আশা রুদ্রনীলের।
তিনি বলেন, ‘ওই দুই জনের মধ্যে যদি সত্যি তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটে তাহলে সেটা দুঃখজনক। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে, নিজেকে সরিয়ে এনে সংসারে মন দেওয়া উচিত।‘ বন্ধুকে এই পরামর্শ দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এদিকে, কাঞ্চন-কাণ্ডে উত্তরপাড়ার বিধায়কের থেকে দূরত্ব বজায় রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা একেবারেই পারিবারিক বিষয়। এর সঙ্গে দল জড়িয়ে নেই। আমি যেহেতু বিষয়টা জানি না, তাই কোনও মন্তব্য করব না।‘ একই সুর শোনা গিয়েছে, হুগলী জেলা তৃণমূলের প্রধান দিলীপ যাদবের গলায়। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। ওর ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে নেই।‘
এদিকে, বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানার দ্বারস্থ স্ত্রী পিঙ্কি। তবে শুধু স্বামী নয়, তাঁর বান্ধবী শ্রীময়ী চট্টরাজের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন পিঙ্কি। পিঙ্কির অভিযোগ, ‘মত্ত অবস্থায় তাঁকে গালিগালাজ করেছে কাঞ্চন। নিত্য মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে।‘ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পিঙ্কি কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁদের একটি ৮ বছরের সন্তান রয়েছে। কিন্তু টলিউডে কান পাতলে কাঞ্চনের বিরুদ্ধে এর আগে এমন কোনও অভিযোগ বা রটনা সামনে আসেনি। যদিও পিঙ্কির দাবি, ‘এতদিন চুপ ছিলাম। এখন মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন