New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/aamir-khan.jpg)
আমির খানের বিজ্ঞাপনকে হিন্দুবিরোধী তকমা বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের
'ইদের নমাজ পড়ার সময় রাস্তা ব্লক করেন কেন?', আমির খানের বিজ্ঞাপন নিয়ে তরজা তুঙ্গে।
আমির খানের বিজ্ঞাপনকে হিন্দুবিরোধী তকমা বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের
সম্প্রতি এক বিজ্ঞাপনে আমির খান (Aamir Khan) বার্তা দিয়েছিলেন, 'দীপাবলিতে কেউ যেন রাস্তায় বাজি না পোড়ান।' আর সেই বিজ্ঞাপন নিয়েই বেজায় চটেছেন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে (BJP MP Ananthkumar Hegde )। অতঃপর তিনিও পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে পিছপা হননি। তাঁর মন্তব্য, "দিওয়ালিতে যদি রাস্তায় শব্দবাজি পোড়ালে অসুবিধে হয়, তাহলে ইদের নমাজ পড়ার সময় রাস্তা ব্লক করো কেন? আর মসজিদ থেকে যে আজানে শ্বদ আসে, তা বেলায় কোনও সমস্যা হয় না?"
সম্প্রতি এক টায়ারের বিজ্ঞাপন নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত। উত্তর কান্নাড়ার সাংসদ হেগড়ে ওই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও অনন্ত বর্ধনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, "সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন হিন্দুদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে।" তাঁর মন্তব্য, "আপনাদের সংস্থার বিজ্ঞাপনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আমির খান নিঃসন্দেহে সমাজের উদ্দেশে ভাল বার্তা দিয়েছেন। জনস্বার্থে আপনাদের চিন্তাভাবনাও বেজায় প্রশংসনীয়। তবে এই প্রেক্ষিতে আমি আরেকটা সমস্যার কথা আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। সেটা হল- শুক্রবার দেশের একাধিক মসজিদের সামনে রাস্তা আটকে নমাজ পড়া হয়। শুধু তাই নয়, মুসলিমদের অন্যান্য উৎসবগুলিতেও প্রায় একই দৃশ্য দেখা যায়। যার জন্যে অনেকসময় দেখা গিয়েছে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা অগ্নিনির্বাপক গাড়ি যানজটে আটকে রয়েছে।"
<আরও পড়ুন: পুজোর মণ্ডপে প্রকাশ্যেই কাজল-তানিশার ঝগড়া! দুই বোনকে থামালেন মা তনুজা>
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তিনি ওই চিঠিতে এও জানিয়েছেন যে, "আজানের সময় মসজিদের মাথায় থাকা মাইক্রোফেন থেকে যে তারস্বরে আওয়াজ আসে। যেটা স্বাভাবিক ডেসিবলের তুলনায় অনেক বেশি। তখনও শব্দদূষণ হয়। তাই আপনি নিজে হিন্দু হয়েই বলুন, এত বছর ধরে হিন্দুদের সঙ্গে হতে থাকা বৈষম্যের প্রেক্ষিতে এটা কি ভাল দেখায়?"
উল্লেখ্য, অনন্তকুমার হেগড়ে এও বলেন যে, কিছু হিন্দু-বিরোধী তারকারা সর্বদাই হিন্দুত্বকে আঘাত করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে কি তাহলে আমির খানকেই খোঁটা দিলেন বিজেপি সাংসদ?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন