Bohurupi in Bangladesh: এ বছর বাংলা ছবির জয়জয়কারে যার নাম একদম প্রথম না নিলেই নয়, সেটি বহুরূপী। পুজো রিলিজ, তাঁর সঙ্গে টানটান উত্তেজনা এবং ব্যাংক ডাকাতি, সব মিলিয়ে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত এই ছবি দর্শকের যেমন পছন্দ হয়েছে তেমনই, এবার আন্তর্জাতিক স্তরেও হতে চলেছে নতুন শুরু।
বহুরূপী দেখিয়েছে এক নির্দোষ মানুষের ব্যাংক ডাকাতির গল্প। সমাজ আর পরিস্থিতির চাপে, একজন মানুষ ঠিক কী কী করতে পারে সেই গল্প। আর এবার সেই ছবিই রিলিজ করতে চলেছে আন্তর্জাতিক স্তরে। বাংলাদেশের মানুষ এবার দেখতে পাবেন বহুরূপী। এই ভীষণ জনপ্রিয় ছবি বাংলাদেশে রিলিজ করতে চলেছে আগামী মাসে। ইন্টারন্যাশনাল ল এর চুক্তিতে বহুরূপী সেদেশে দেখা যাবে বড়পর্দায়।
কিছু নিয়ম তো থেকেই যায় অন্যদেশে ছবি রিলিজের ক্ষেত্রে। উইন্ডোজ প্রোডাকশন সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে ছবি রিলিজের আদান প্রদান হবে। এবং সেই নিরিখে, ওপার বাংলায় যখন বহুরূপী রিলিজ করতে চলেছে, তখন এদেশে পরিচালক রায়হান রাফির ছবি দামাল এদেশে রিলিজ করবে। যেই ছবিতে রয়েছেন শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম এবং অন্যান্য। রাফি তাঁর ছবি তুফানের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
ওপার বাংলার মানুষ অপেক্ষা করছেন বহুরূপী দেখার জন্য। এবং দর্শকদের নিয়ে পরিচালক শিবপ্রসাদ বলছেন, "আমরা খুব উদগ্রীব হয়ে বসে আছি। বহু মানুষের অপেক্ষা যে কবে ওপার বাংলায় এই ছবি দেখানো হবে। বহুরূপী যে প্রথা, দুই বাংলার এক হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কথা, আর্ট ফর্ম, সেটা ওপার বাংলার মানুষের জানা উচিত। এই দুই বাংলার মানুষ একটা নিদারুণ সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়েছে। আরও মানুষ জানতে পারবে এই প্রসঙ্গে।"
কিন্তু, কিছু আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে পরিচালকের। রাষ্ট্রীয় তরফে কবে সিলমোহর আসবে, লাল ফিতে কাটার অপেক্ষায় দুই দেশের প্রযোজনা সংস্থা। পরিচালক জানিয়েছেন, "শুধু অপেক্ষা ফাইনাল অনুমতির। লাল ফিতের গেরোতে আটকে আছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে সেটা। এবং আমরা রিলিজ তারিখ জানতে পারব। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রকে যে মানুষটি রয়েছেন ফারুকী সাহেব, আমি তাঁর ভক্ত। এবং তিনি আন্তর্জাতিক সিনেমার সঙ্গে যুক্ত, আমার ধারণা তিনি বুঝবেন পরিচালক এবং প্রযোজকদের মনের কথা। দুই বাংলার মধ্যে এই সিনেমাটিক আদান প্রদান যেন বাড়তে পারে।"
উল্লেখ্য, বহুরুপী ছবিতে দেখা গিয়েছে আবির চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। অন্যদিকে, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়।