করোনায় যেন থমকে গিয়েছে গোটা সময়। থমে গিয়েছে বলিউডের ব্যস্ততাও। বন্ধ হয়েছে স্টুডিয়ো। গৃহবন্দী হয়েছে তারকারা। এমতাবস্থায় লকডাউন পরবর্তীতে কোপ পড়তে চলেছে অভিনেতাদের পারিশ্রমিকেও। করোনার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বম্বে ইন্ডাস্ট্রিও।
বরুণ ধাওয়ান, রণবীর সিংয়ের ছবিপিছু ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা নিতেন, সেখানেও পড়তে চলেছে কোপ। এমনকী বাদ যাবেন না দীপিকা, আলিয়া, শ্রদ্ধা কাপুররাও, যারা প্রতি ছবি প্রতি নিতেন ৫ থেকে ১২ কোটি টাকা। ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়াণ ট্রেড এক্সপার্ট তরণ আদর্শ, কোমল নাহতারা জানিয়েছেন যে করোনাভাইরাসের যে অতিমারীত্ব তার প্রভাব পড়তে চলেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও। তাঁদের মতে, "প্রত্যেককেই তাঁদের প্রাপ্য অর্থে কাটছাঁট করতে হবে। কারণ সিনেমা তো আর একজনকে নিয়ে তৈরি হয় না, সবাই থাকেন সেখানে। একটা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমেই বাজেটে লক্ষ্য রাখা হয়। বর্তমানে সেই জায়গাটাই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন, প্রথমবার একসঙ্গে পর্দায় কৌশিক-রেশমি-ঋদ্ধি, সৌজন্যে শিবপ্রসাদ
কোমল নাহতা বলেন, "এর কোনও আর বিকল্প রাস্তা নেই। কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। সমস্ত ব্যবসা বন্ধের মুখে। একটা বিপুল ক্ষতির মধ্য দিয়ে চলেছি। এই পরিস্থিতিতে পারিশ্রমিক কমানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।" তবে তাঁরা এও বলেছেন যে এক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের বদলে তাঁরা ছবির শেয়ারও কিনতে পারেন। যেমনটা করে থাকেন শাহরুখ খান কিংবা অক্ষয় কুমার। অর্থাৎ ছবি যদি রমরমিয়ে ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে লাভের একটা অংশ পাবেন অভিনেতারা। আর ক্ষতির মুখ দেখলে তাঁদেরকেও সেই মতো লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
তবে শুধু পারিশ্রমিকে নয়, বলিউডি চলনেও আনতে হবে বদল এমনটাই মত ট্রেড এক্সপার্টদের। বর্তমানে তারকাদের হেয়ার ড্রেসার থেকে শুরু করে ড্রাইভারদের খরচও বহন করতে হয় প্রোডাকশনকে। কিন্তু লকডাউন পরবর্তীতে সেই ভাবনাতেও করোনা প্রভাব পড়তে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন