Bollywood Actress Tragic life: ভালোবাসায় কত কিছুই না হয়। ভালোবেসে সারা জীবন একাও থাকা যায়, এমনটা মনে হয় প্রমাণ করেছেন আর বলিউড অভিনেত্রী। কি করে সারা জীবন ভালোবেসে থেকে গেলে, কিন্তু কোন অধিকারও চাইলেন না, মুখ ফুটে কিছু বললে না। শুধুই ভালবাসেন। বিবাহিত পরিচালককে মন থেকে শুধু ভালবাসলেন।
ম্যায় তুলসি তেরে আঙ্গন কি ছবিতে, হিরোর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। প্রচুর মানুষ তখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাস্তবে জীবনে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চান? কিন্তু অকপটেই তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, কারোর জীবনে কোনদিনও ক্ষতি করতে চান না তিনি। না তো কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে অন্য কারো সংসার ভাঙতে চান। সতীন হতে চান নাকি। একজনকে ভালোবেসে যে সারা জীবন একা থেকে যাবেন, ভাবতে পেরেছিল। প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আশা পারেখ। ৮২ বছরের অভিনেত্রী জীবনে কোনদিনই বিয়ে করেননি। কারণ পছন্দের মানুষটা যে বিবাহিত ছিলেন। যাকে তার মনে ধরেছিল সেই মানুষটাই অন্য কারোর ছিল।
Tollywood: আদৃতের জন্মদিনে মনের কথা উজাড় করলেন পারিজাত, আর কৌশাম্বি?…
মন প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিলেন একজনকে। তিনি আর কেউ নন, বরং সত্তরের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক নাসির হোসেন। ৮২ বছরের জীবনে কেবলই একটা মানুষকে তিনি ভালোবেসে ছিলেন। তিনি ছিলেন বিবাহিত। আশা কোনদিন কোন রকম রোমান্টিক স্ক্যান্ডেলে জড়াননি। তবে তার বই, দ্যা হিট গার্লের লঞ্চের সময়, নিজের মুখেই সাফ জানিয়েছিলেন যে নাসির হোসেন ছাড়া কাউকে কোনদিন তিনি ভালবাসেননি। এবং এও বলেছিলেন যারা আমার জীবনে কিছু অর্থ রাখতো, তাদেরকে নিয়ে যদি আমি খোলাখুলি আমার বইতে নাই লিখতে পারি তবে আর কিসের বই?
দুজনের বয়সের ব্যবধান ছিল সাংঘাতিক। তারপরও আশা নাসির সাহেবকে নিয়ে ভাবতেন। তাঁর খেয়াল রাখতেন তিনি। কিন্তু কোনদিনই তার পরিবার ভাঙ্গার জন্য দায়ী হতে চাননি। নাসির সাহেবের পরিবারের মধ্যেখানে তিনি আসতে চান। বড় এক সাক্ষাৎকারে তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, আমি কোনদিন কারোর ঘরবাড়ি ভাঙতে চাইনি। আর যদি বলেন বিয়ের কথা, ঈশ্বর বিয়ের গাঁটছড়া বেঁধে পাঠান। উনি বোধহয় আমারটা তৈরি করতে ভুলে গেছেন।" কিন্তু ভালোবেসে যে একা থাকা যায়, সে কথা প্রমাণ করেছিলেন অভিনেত্রী।