Bollywood Actress Tragic Life: অভিনেত্রীদের জীবন যে কত দুর্ঘটনার শিকার হয়, এমনকি তারা যে কী ধরনের দৈনন্দিন জীবনের মধ্যে দিয়ে যান, সেকথা অভিনেত্রী ভিমিকে না দেখলে বোঝা সম্ভব না। তাঁর জীবন নাকি ট্র্যাজেডি সেন্টার কেউ না জানলে বুঝতেই পারবেন না। ওভার নাইট সেনসেশন এই অভিনেত্রী, নিজের ৩৪ বছরের জীবনে যে কঠিন অধ্যায় পার করেছেন শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে।
বলিউডে অনেকেই আছেন যারা, জীবনে অনেক দুর্দশার জীবন দেখেছেন। এমনকি, ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছেন তাঁরা। আর এই অভিনেত্রীর জীবনে তো পুরো সিনেমা। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন। প্রসঙ্গে ভিমি। কিন্তু, তাঁর প্রথম ছবি হামরাজ দিয়েই সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে এই ছবি দিয়েই তাঁর নতুন জীবন শুরু হয় ইন্ডাস্ট্রিতে। এবং তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি, একের পর এক সব সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন। শশী কাপুর থেকে রাজ কুমার - অনেকেই তাঁর হিরো ছিলেন। তবে, ব্যক্তিগত জীবন ছিল সাংঘাতিক।
Chandan Sen: বাংলা বললেই বাংলাদেশী? 'RSS দ্বারা মানুষকে ক্ষ্যাপানো-বিভ্রান্ত করা', ভাষা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক চন্দন সেন..
একসময় বলিউডের সবথেকে সেলিব্রেটেড অভিনেত্রী তিনি। প্রতি ছবিতে তিনি অভিনয় বাবদ ৩ লাখ টাকা করে নিতেন। এখানেই শেষ না। একসময় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েই নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। শিব আগরওয়াল, এই ব্যবসায়ীর সঙ্গেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন তিনি। এবং তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই জলী নামক এক ছোট প্রোডিউসারের সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্ক তাঁকে জীবনে যে যন্ত্রণা দিয়েছিল, সেকথা কানে না শুনলে বিশ্বাস করা যাবে না। জলির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকাকালীন সেই ব্যক্তি তাঁকে পতিতাবৃত্তির পথে এগিয়ে দিতে চাইতেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/th/id/OIP-561948.d4_ADiAnp_6GalStJCLQagHaD4?r=0&rs=1&pid=ImgDetMain)
ভিমি, সেই বিয়ে থেকে সরে আসেন। কিন্তু তাঁর মন হাজারো ভাগে ভাগ হয়ে যায়। দিন দিন মদ্যপানে ডুবে যেতে শুরু করেন। কলকাতায় এসে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু সেটাও ব্যাংক্রাপ্ট হয়ে যায়। কিন্তু, মাত্র ৩৪ বছরেই সব শেষ হয়ে গেল। অভিনেত্রী দিনের পর দিন মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত হয়ে মদ্যপানে আসক্ত হতে শুরু করেন। এবং শেষমেশ তাঁর শারীরিক অবস্থা এতই অবনতির পথে যেতে শুরু করে যে লিভারের সমস্যায় তিনি ভুগতে শুরু করেন। এবং, ডাক্তাররা শেষ মুহূর্তে তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। শেষকৃত্যে আসেননি তাঁর পরিবারের কেউ। এমনকি, তাঁকে শ্মশানে পৌঁছতে হাতগড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।