'সনজু' মুক্তির দিন ঘুরে আসা সুনীল-সঞ্জয়ের সম্পর্কের সমীকরণে
সঞ্জয় দত্ত ও সুনীল দত্তের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন যে দৃঢ় ছিল তার ঝলক আমরা আগেই পেয়েছি। ফারুক শেখের 'জিনা ইসি কা নাম হ্যায়' শোয়ের মাধ্যমেই বাবা-ছেলের বন্ডিংয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন দর্শক।
জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। আটের দশকের শেষ থেকেই তাঁর চড়াই-উৎরাইয়ে সাক্ষী দর্শক। মায়ের মৃত্যুশোক, মাদকাসক্ত হওয়া আর সেই সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য বলিউডে অভিনয় ডেবিউ, সঞ্জয় দত্তের জীবন খোলা ডায়েরির মতো। কিন্তু এতকিছুর পরে বাবা সুনীল দত্ত ছিলেন সনজু বাবার পাশে। ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের মামলায় জেল যাত্রার সময়েও সিনিয়র দত্ত সঞ্জয়ের শিরদাঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
Advertisment
সনজু,ছবির প্রেক্ষাপট সঞ্জয় দত্তের জীবন। পরিচালক রাজকুমার হিরানি, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের কাটানো বহু মূহুর্তকে তুলে এনেছেন ৭০ মিলিমিটারে।
সঞ্জয় দত্ত ও সুনীল দত্তের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন যে দৃঢ় ছিল তাঁর ঝলক আমরা আগেই পেয়েছি। ফারুক শেখের 'জিনা ইসি কা নাম হ্যায়' শোয়ের মাধ্যমেই বাবা-ছেলের বন্ডিংয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন দর্শক। শোয়ের ফরম্যাটটাই এমন ছিল যেখানে একজনের জীবনের ভাল-খারাপ নানা সময় সামনে চলে আসত। আর তাঁদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকে ডেকে আনা হত শোয়ে।
দেখুন তারই কিছু ঝলক। যেখানে সঞ্জয় দত্ত খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক রাস্তায় উত্থানের অভিজ্ঞতা বন্দি রয়েছে-
ছবিতে সুনীল দত্তের ভূমিকায় দেখা যাবে পরেশ রাওয়ালকে। এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে পরেশ রাওয়াল জানিয়েছিলেন, এটা অনেকটা ভগবানের আর্শীবাদের মতো। তিনি বলেছিলেন, সুনীল দত্ত তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। আজ বারো বছর পর, যেদিন তিনি সেই কার্ড খুঁজে পেয়েছিলেন সেইদিনই রাজকুমার হিরানি তাঁকে চরিত্রটা অফার করেছিলেন। তিনি বলেন, ''এটা অনেকটা ঈশ্বরের আর্শীবাদের মতো। আমি পরে রাজকুমার হিরানিকে সেই চিঠিটা দেখিয়েছিলাম''।
প্রসঙ্গত, রণবীর কাপুর অভিনীত 'সনজু' মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবারই।