নিউ দিল্লিতে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের চলচ্চিত্র শাখা আয়োজিত শ্রীদেবীর রেট্রোস্পেক্টিভে দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুরকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বনি কাপুর। আবেগঘন এই অনুষ্ঠানে একসময় ভেঙে পড়েন জাহ্নবী। অনুষ্ঠানে বনি কাপুরকে শ্রীদেবী সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। জানতে চাওয়া হয় সুপারস্টারের শৈল্পিক সত্ত্বা নিয়েও।
বনি কাপুর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আজকের দিনটা শূন্য, ''সেই শূন্যস্থান কোনওভাবেই পূরণ করা যাবে না। কিন্তু যে ভালবাসা ও শুভেচ্ছা ও রেখে গেছে তাতে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ও আমার সঙ্গে রয়েছে, আমার স্মৃতিতে। আমাদের ছেলেমেয়ের সঙ্গে''।
শ্রীদেবীকে নিয়ে তাঁর প্রথম অনুভূতির কথাও শেয়ার করেন পরিচালক। তিনি বলেন, ''পর্দায় প্রথম দেখেই ওঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। শুরু থেকেই একতরফা ভালবাসা ছিল। আমি এমনভাবে ওঁর পেছনে ধাওয়া করেছিলাম যে চেন্নাই পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম ছবিতে সাইন করানোর জন্য কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ও ফাঁকা ছিলনা। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি, ওঁর কাজকে সম্মান করি''।
বনি কাপুরের কথায় নিজের প্যাশানের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ছিল শ্রীদেবীর, যা তিনি বহন করেছেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। প্রযোজক আরও যোগ করেন হাওয়া হাওয়াই গার্ল তাঁর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি কারণ ছোট থেকেই সিলভার স্ক্রিনে প্রচুর সময় দিতে হত তাকে। শ্রীদেবী সেই প্রতিটা প্রশংসার অধিকারী যা অভিনেত্রীকে প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে গিয়ে বনি বলেন, ''শ্রীদেবী ওর স্কুল শেষ করতে পারেনি। কলেজে যেতে পারেনি কারণ সেই সময়ে ক্রমাগত কাজ করছিল ও আর এত বেশি কাজের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল যে সময়টাই পায়নি। তার ফল সারা বিশ্ব দেখতে পেয়েছে। ও প্রতিটা সম্মানের যোগ্য, শ্রদ্ধা ও ভালবাসাই ওর প্রতি দুনিয়ার শ্রদ্ধাঞ্জলি''।
আরও পড়ুন, শ্রীদেবীর জন্মদিনে বলিউডের চাঁদনীর কিছু দুর্লভ মুহূর্তের ছবি
বনি কাপুরকে এও জিজ্ঞেস করা হয়, যদি কখনও তিনি শ্রীদেবীর বায়োপিক বানান তাহলে প্রধান চরিত্রে কাকে নেবেন, পরিচালকরে স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর, ''আমি এখনও সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছতেই পারিনি''। প্রসঙ্গত, এবছরই ২৪ ফেব্রুয়ারী দুবাইয়ে মৃত্যু হয় সুপারস্টার শ্রীদেবীর।