/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/chanchal1.jpg)
কী বলছেন চঞ্চল?
Chanchal Chowdhury on Bangladesh: বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। কোটা আন্দোলনে দেশের ছাত্রদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দিকেও এক বিরাট বদল এসেছে। শেখ হাসিনা, পদত্যাগ করার পর, যেন দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হওয়ার মতো উপলব্ধি তাঁদের। আনন্দে বিজয় মিছিলে শামিল হয়েছেন তাঁরা।
অভিনেতাদের মধ্যেও অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন। মোশাররফ করিম, বাঁধন এবং আন্দোলনে বিজয় পাওয়ার পর, আফরান নিশো থেকে জোভান এবং অনেকেই সমাজ মাধ্যমে আওয়াজ তুলেছিলেন। কিন্তু, কেন দেশের এহেন অবস্থায় কিছুই বলছেন না চঞ্চল চৌধুরী সেই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন। সেদেশের হিন্দু ধর্মের একজন তারকা, দেশে হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার হচ্ছে, এই নিয়ে কিছু বলছেন না কেন?
অনেকেই তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অভিনেতার নতুন ছবি পদাতিক রিলিজের পথে। কিন্তু ভারতে আসার উপায় হচ্ছে না। একেই বাংলাদেশে আপাতত স্থগিত পদাতিকের রিলিজ। কিন্তু অভিনেতাকে নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হচ্ছে। তাঁর না বলা বক্তব্য নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। সেই সব নজর এড়ায়নি তারকার। তাই তো তাঁর চুপ থাকার পেছনের আসল রহস্য ফাঁস করলেন। তিনি বলছেন...
"আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি…….আমার নাম ব্যবহার করে কোন বিদেশী/দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়,তার দায় আমার নয়। কারন এখন পর্যন্ত আমি কোন পত্র পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বিষয়ে কোন বক্তব্য দেইনি। আমি সাধারন একজন শিল্পী। পেশাগত কারন ছাড়া কোন কিছুর সংগে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থ্যতাজনিত কারনে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।"
উল্লেখ্য, অভিনেতার এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। কারণ, চঞ্চল চৌধুরী সেই বাংলায় হাসিনা ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। তাই তো, কেউ বলছেন, "আপনিও স্বৈরশাসকের দোসর!" আবার কেউ তাঁর গানের লাইন উল্লেখ করেই বললেন, "সাদা সাদা ,কালা কালা রঙ লেগেছে সাদা কালা। এখন আমি হইছি ভালা,স্বাধীনতার কালে।" আবার কেউ বললেন, আপাততো গর্তে আছেন বুঝতে পারছি,সমস্যা নেই বেরিয়ে আসুন৷