বেশ কিছু মাসে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, সে সম্পর্কে অনেকেই অবগত। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, অনেকে এমন আছেন দেশ ছেড়েছেন। আবার কোনও কোনও তারকা গা ঢাকা দিয়েছিলেন যাদের মত করে। বিশেষ করে যারা হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের মধ্যে উঠে আসছিল চঞ্চল চৌধুরীর নাম।
চঞ্চল যিনি বাংলাদেশের, অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা এপারে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পদাতিক তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। কিংবদন্তি পরিচালক, মৃণাল সেনের ভূমিকায় কাজ করেছিলেন তিনি। তার আগে তাকে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনার ছবি মুজিবে দেখা গিয়েছিল। যদিও বেশ কিছুদিন ধরে তিনি চুপ রয়েছেন।
অভিনেতা সমাজ মাধ্যমে না পোস্ট করেন না নিজের মন্তব্য রাখেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর নিশ্চুপ নিরবতাই তাকে যে আজকেও চুপ থাকতে বাধ্য করেছে, একথা অস্বীকার করার নয়। কিন্তু কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল, ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথেই নাকি বাংলাদেশের সেনা তাঁকে আটক করে। ঢাকা থেকে নাকি তিনি বিমানে উঠেছিলেন। কিন্তু, তাঁর নিউইয়র্কে পৌঁছানো হয়নি। কারণ বাংলাদেশ সেনা তাকে আটক করে গৃহবন্দী হতে নির্দেশ দেয়। যদিও বাংলাদেশের মাধ্যম সূত্রে খবর যে এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং মিথ্যে।
আরও পড়ুন - Ramkamal Mukherjee: 'জীবনে প্রথম স্টার থিয়েটারেই নাটক দেখেছিলাম', শৈশব নিয়ে নস্ট্যালজিক 'বিনোদিনী'র পরিচালক রামকমল
এবার এই প্রসঙ্গেই সাফাই গিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী খোদ। অভিনেতার কথায় তিনি কাজের জন্যই নিউইয়র্কে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার উদ্দেশ্য কিংবা গন্তব্য আসলে কোথায়, বা আদৌ তিনি কাজ করতে যাচ্ছেন কিনা সেটা বিবেচনা না করেই তাঁকে বিমান থেকে নামানো হয়। কিন্তু গৃহবন্দী হওয়ার ঘটনা, একেবারেই ভুল এবং মিথ্যে। অভিনেতা জানিয়েছেন, এরকম কোন ঘটনাই আমার সঙ্গে ঘটেনি। এই সবটাই ভুয়া এবং ভুল।
উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী বেশ অনেকদিন লাইমলাইট থেকে সরে আছেন। তাঁকে কোনও কিছুতেই মন্তব্য রাখতে দেখা যায় না। আর আগেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবটাই এড়িয়ে যান।