বাংলাদেশে শো করতে গিয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। সেই খবর পেয়েই পরিবারকে নিয়ে দেখা করতে ছুটে এলেন চঞ্চল চৌধুরি। 'নচিদা'র পদ্মাপারের সফর আরও স্মরণীয় করতে জমাটি আড্ডা বসল। দুই তারকার যুগলবন্দী দেখে কী উল্লাস দর্শকদের।
পশ্চিমবঙ্গ হোক কিংবা পদ্মাপার। দুই বাংলাতে নচিকেতার ভক্ত-সংখ্যা যেমন অগণিত, তেমনই কলকাতায় চঞ্চল চৌধুরির অনুরাগীর অন্ত নেই। নন্দনে হাওয়া দেখতে আসা উপচে পড়া জনতার ভিড়-ই সেই প্রমাণ। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে টলিউডে বহু আগেই শিকে ছিঁড়েছিলেন চঞ্চল। তবে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করে এবার আরও বড় পরিসরে কাজ শুরু করেছেন। সৃজিতের সুবাদে কলকাতাতেই হচ্ছে 'পদাতিক'-এর শুটিং। প্রথমার্ধ শেষ করে আপাতত বাংলাদেশে চঞ্চল। কাজের অবসরে এক সন্ধেতেই নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে আড্ডা জমল তাঁর।
বসন্তের সন্ধেয় হারমোনিয়ামে সুরে 'সাদা সাদা কালা কালা রং' জমেছে.. কণ্ঠ ছাড়লেন চঞ্চল। সুর মেলালেন নচিকেতাও। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেই আড্ডার একফাঁলি দৃশ্য শেয়ারও করলেন চঞ্চল ফেসবুকে। যা কিনা নেটদুনিয়ায় এখন দাবানল গতিতে ভাইরাল। নচিকেতার আপ্যায়ণে মুগ্ধ পদ্মাপারের অভিনেতা। সেকথা নিজে জানালেও।
চঞ্চল চৌধুরির মন্তব্য, "পরিবার-পরিজন নিয়ে গতরাতে নচি’দা মানে নচিকেতা চক্রবর্তীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বাকিটা ইতিহাস। স্মরণে রাখবার মত চমৎকার স্মৃতি। আড্ডায় উপস্থিত রবি চৌধুরী,চন্দন সিনহা, কবির বকুল,বৃন্দাবন দাস, শাহানাজ খুশি, দিব্য, সৌম্য, উদয়, শান্তা, শুদ্ধ। বিশেষ মানুষ ইকবাল ভাই। গানে গানে কাটল অনেকটা সময়। অনেক গল্প তো বটেই, বিশেষ করে দিব্য, সৌম্য, শুদ্ধকে দেখে নচি’দা খুব খুশি। ওরাও নচি’দাকে পেয়ে মহাখুশি। আমাদের সৌভাগ্য,আমরা বাংলা গানে নচিকেতা চক্রবর্তীর যুগ স্বচক্ষে দেখেছি। নচি’দা,কামনা করি তোমার সুস্থতা আর দীর্ঘায়িত হোক তোমার শিল্পী জীবন।" দুই বাংলার শিল্পীর এমন যুগলবন্দি চাক্ষুষ করে উল্লাসিত অনুরাগীরা। তাঁদের জন্য দোয়া, প্রার্থনা উপচে পড়েছে কমেন্ট বক্সে।
<আরও পড়ুন: ন্যাড়া মাথা, গলায় কণ্ঠি, নটি বিনোদিনী বেশে প্রিয়াঙ্কা, রুক্মিণীকে টেক্কা?>
অনুরাগীরা বলছেন, এপার-ওপার দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার। দুই কিংবদন্তী বলেও সম্বোধন করেছেন কেউ কেউ।