শাহরুখ খানের 'পাঠান' সিনেমার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ২২টি বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমাহল খুলেছে। অতিমারীর ছোবলে বন্ধ গিয়েছিল এই সিনেমাহলগুলো। তবে এবার শাহরুখ খানের 'পাঠান' ঝড় উঠতেই ফের খুলেছে হলের বন্ধ তালা। তবে বলিউডের পাশাপাশি টলিউডও পিছিয়ে নেই। 'পাঠান'-এর মতো এগিয়ে বাংলাও। দেব-মিঠুনের সিনেমা 'প্রজাপতি'র জন্য চন্দননগরের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রেক্ষাগৃহও আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে। যা কিনা অবশ্যই বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির সেলিব্রেট করার মতো খবর!
অতিমারীকালে রাজ্যের একাধিক সিনেমাহল বন্ধ হয়েছিল। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরে বহু সিঙ্গলস্ক্রিন সিনেমাহলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তবে কোভিডের পর অনেক হল খুললেও সেই তালিকায় ছিল না চন্দননগরের শ্রী দূর্গা ছবিঘর। দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর এবার ২৬ জানুয়রি, সাধারণতন্ত্র দিবসে একেবারে মতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করল মফঃস্বলের এই প্রেক্ষাগৃহ। আর প্রথম শো-ই 'প্রজাপতি'।
<আরও পড়ুন: ৩২ বছর পর কাশ্মীরে ‘ইতিহাস’! ভূস্বর্গে হাউজফুল ভূমিপুত্র শাহরুখের ‘পাঠান’>
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে চন্দননগরের একাধিক সিঙ্গলস্ক্রিন সিনেমাহল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায়- স্বপ্না, জ্যোতি, জোনাকির মতো হলগুলিও রয়েছে। তবে এবার শ্রী দূর্গা ছবিঘরের হাত ধরেই চন্দননগরবাসী সিঙ্গলস্ক্রিনে সিনেমা উপভোগ করার মজা নিতে পারবেন। পাশাপাশি এই হলে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁরাও এই সিনেমাহল খোলার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে রুজি-রোজগার ফিরে পেলেন। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরে ততোধিক উচ্ছ্বসিত হলমালিক অশোক নন্দী।
স্বাধীনতারও আগে চালু হয়েছিল এই সিনেমাহল। ইতিহাসের সাক্ষী এমন একটি থিয়েটার করোনার ছোবলে বন্ধ হয়ে যায়। সেইসময়েই ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্স তৈরির লোভনীয় প্রস্তাব আসে অশোকবাবুর কাছে। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। বরং গ্ল্যামারাস মাল্টিপ্লেক্সের হাতছানিতে সাড়া না দিয়ে সিঙ্গলস্ক্রিনেই নতুন প্রাণপ্রতিষ্ঠা করলেন তিনি। এযেন প্রকত অর্থেই এক সিনেমাওয়ালার কাহিনী। ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে অশোকবাবুর জিতে খুশি চন্দননগরবাসীও।