'Being Human' সলমন খানের (Salman Khan) এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে এযাবৎকাল বহু দুস্থ মানুষ আশার আলো দেখেছেন। এমনকী, অতিমারী আবহেও সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। এবার সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্যই কিনা আইনি বিপাকে পড়লেন খোদ ভাইজান। প্রতারণার অভিযোগ উঠছে সলমন খান, তাঁকে বোন আলভিরা-সহ আরও ৬ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতেই বলিউড সুপারস্টারকে সমন পাঠাল চণ্ডীগড় পুলিশ (Chandigarh Police)।
সূত্রের খবর, আগামী ১৩ জুলাই সলমন এবং তাঁর বোন-সহ ওই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হতে পারে। বলিউড অভিনেতর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন অরুণ গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী।
<আরও পড়ুন: ‘হিন্দু নাম নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টাকা কামিয়েছেন’, দিলীপ কুমারকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট বিজেপি নেতার>
ঠিক কোন কারণে সলমনের 'Being Human' সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে? অরুণ গুপ্ত নামে ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০১৮ সালে সলমন খানের 'বিয়িং হিউম্যান জুয়েলারি'র আওতায় একটি এক্সক্লুসিভ স্টোর খোলেন তিনি। যার জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকা। এরপর সংস্থার তরফে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। ক্রেতাদের সঙ্গে বেচাকেনা করার ডেমনস্ট্রেট দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। এমনকী, ভাইজান খোদ ওই শোরুমের উদ্বোধন করবেন বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বছর দুয়েক বাদেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। উপরন্তু, টাকা নেওয়ার পরও দোকানে জিনিসপত্র পাঠানো হয়নি 'বিয়িং হিউম্যান জুয়েলারি' তরফে বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে সেই দোকানটি বন্ধ করে দেন তিনি।
মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োদের পরও ব্যবসা চালু করতে না পারার জন্য এদিকে ওই ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পরে। এমতাবস্থাতেই অরুণ গুপ্ত চণ্ডীগড় পুলিশের দ্বারস্থ হন। সলমন খান, তাঁর বোন আলভিরা-সহ 'Being Human' সংস্থার আরও ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই চণ্ডীগড় পুলিশ বলিউড অভিনেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন