চন্দ্রযান ৩ সফল। ২০১৯ এর ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে ফেলে আজ এক নয়া ইতিহাস গড়ল ভারত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও এল শুভেচ্ছা। শুধু তাই নয়, তসলিমা নাসরিন শুভেচ্ছার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের কথাও বললেন।
Advertisment
বাংলাদেশের মানুষ তসলিমা। নানা সময়ে বিতর্ক ঘিরে থাকে তাঁকে। এবারও ভারতের সাফল্যে উচ্ছাস প্রকাশ করলেও বাংলাদেশের এবং পাকিস্তানের ব্যর্থতা আঙ্গুল দিয়ে দেখালেন তিনি। যেখানে, মানুষ খেতে পারছে না। অর্থাভাব, সেখানে পয়সা খরচ করে চাঁদে যাওয়া উচিত নাকি না? এই নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। বললেন…
"অনেকে বলবে, কত দারিদ্র, কত লোক খেতে পায় না, কত লোকের বাড়িতে টয়লেট নেই, কী দরকার চাঁদে গিয়ে, এত টাকা খরচ করে? আমি বলবো, বিজ্ঞানের অগ্রগতির দরকার সব সময়। একই সঙ্গে দারিদ্রও দূর করা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতাও বাড়ানো দরকার। একটির উন্নতি করতে গেলে আরেকটির উন্নতি স্থগিত রাখতে হয় না।"
কোরানে নিমগ্ন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। তাদের পক্ষে আদৌ ১০০ বছর পরেও চাঁদে পা রাখা সম্ভব? ধর্মে ডুবে আছে তাঁরা? বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে রেখে কেবল কোরানই তাঁদের বিজ্ঞান। তসলিমা বললেন.."ভারতের এককালের অংশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কি আগামী ১০০ বছরে চাঁদে পা রাখা সম্ভব? না। তারা ধর্মে ডুবে আছে, বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে। কোরানই নাকি তাদের বিজ্ঞান। যতদিন কোরান তাদের বিজ্ঞান শেখাবে, ততদিন তাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত নয়।"
ভারতের আজ এক আনন্দের দিন। দীর্ঘদিনের প্রয়াস, ব্যর্থতা এবং সবকিছুর পরে আজ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরন। দেশের কাছে এ এক অনন্য আনন্দের দিন। তাই তো, রেষারেষি অশান্তি ভুলে তসলিমা বললেন…"ভারত এখন চাঁদে। চন্দ্রায়ন-৩ আলতো ভাবে চাঁদের গায়ে পা রাখলো এই মাত্র। অভিনন্দন ভারত।"