/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/deppika-chappak-759.jpg)
ছবিতে মালতি চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন।
মুখ, চোখ, কান- কিছুই আর আগের মতো নেই। আয়নার দিকে তাকালে নিজেকেই শিউরে উঠতে হয়। বর্বরতার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থেকে যেতে হয় বাকি জীবনটা। তারা অ্যাসিড হামলার শিকার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু বাইরের চেহারা নয়, দ্বগ্ধ হয় মন, আত্মবিশ্বাস। পরিচালক মেঘনা গুলজারের ফ্রেমে প্রকাশ্যে এল সে রকমই এক সত্যি ঘটনা।
নিজের প্রতি ঘটে যাওয়া জঘন্য অপরাধের বিচার চেয়েছিল লক্ষ্মী। সেই ঘটনাই সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসছেন মেঘনা গুলজার। যার মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল 'ছপক'-এর ট্রেলার, যা দেখে শিউরে উঠতে হয়। ছবির ঝলকেই লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্রে আলোড়ন তুললেন দীপিকা।
আরও পড়ুন, মেয়ে শাহিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠান, কেন চটে গেলেন মহেশ ভাট?
'ছপক'-এর মাধ্যমেই প্রযোজনায় পা রাখলেন দীপিকা। ছবির ঝলকেই বোঝা গেল যত্রতত্র অ্যাসিড বিক্রি হওয়ার মতো বিষয় সামনে আনতে চলেছে এই ছবি। বারবার মালতির মতো মানুষেরা আক্রান্ত হওয়ার পরই অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। ট্রেলারে দীপিকার মেকআপ দেখলেই বোঝা যাবে সার্জারির পর থেকে পরবর্তীতে দিনগুলিতে কীভাবে বদলে যায় মুখের আদল। হামলার পর কত লম্বা প্রক্রিয়া ও সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
বছর ১২ বয়স হবে তখন, অ্যাসিড হামলা হয়েছিল লক্ষ্মীর উপর। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সেই মানুষটি অ্যাসিড আক্রমণ করে। ঝলসে যায় লক্ষ্মীর মুখ ও শরীরের কিছু অংশ। সেই দিনের পর থেকে প্রতিনিয়ত অ্যাসিড হামলা ও অ্যাসিড বিক্রির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে লক্ষ্মী। এই লক্ষ্যে একটি সংস্থাও রয়েছে তাঁর। ২০১৪ সালে লক্ষ্মী আগরওয়ালকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারও প্রদান করেছিলেন মিশেল ওবামা।
আরও পড়ুন, বিয়ে বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের পথে শ্বেতা বসু প্রসাদ
মেঘনা গুলজারের ছবি মানেই তাতে একটা ভারসাম্য থাকবে। এর আগে 'রাজি' ও 'তলওয়ার'-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক। দীপিকা ছাড়াও 'ছপক'-এ অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত মেসি। ২০১৮-য় সঞ্জয় লীলা বনশালীর পদ্মাবত-এ শেষ দেখা গিয়েছিল দীপিকাকে। অঙ্কিতা চৌহান এবং মেঘনা গুলজারের লেখা চিত্রনাট্যে 'ছপক' মুক্তি পাচ্ছে ১০ জানুয়ারী।