ছবি: ছিছোরে
পরিচালনা: নীতেশ তিওয়ারি
অভিনয়: সুশান্ত সিং রাজপুত, শ্রদ্ধা কাপুর, প্রতীক বব্বর, তাহির রাড বসিন, বরুণ শর্মা, তুষার পাণ্ডে
রেটিং: ২.৫/৫
কলেজ জীবন যারা হস্টেলে কাটিয়েছেন তারা জানেন আড্ডা, একসঙ্গে বসে ক্যান্টিন মাত করা, একটা রুমের সঙ্গে অন্য রুমের বিবাদ কতটা নস্ট্যালজিয়ার। এই ঝগড়া করছে আবার অন্য ওয়ার্ডের সঙ্গে ঝামেলা হলে হাত ধরাধরি করে একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছে। জীবনে চলার পথে বন্ধুরাই যে শক্ত পিলার একথাও স্মরণ করিয়েছ দিয়েছে নীতেশ তিওয়ারির ছিছোরে।তবে নস্ট্যালজিয়া ব্যতিরেকে আর কিছু দিতে পারল কি!
আন্নি, ডেরেক, সেক্সা, মাম্মি, বেওড়া, অ্যাসিড— ছয় বন্ধু। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হস্টেলে একে অপরের সঙ্গী। আর আছে গার্লস হস্টেলে মায়া।গল্পটা কিন্তু লুজারদের। আন্নি অথাত্ অনিরুদ্ধ এবং মায়ার (শ্রদ্ধা কাপুর) ছেলে রাঘবকে নিজেদের কলেজ জীবনের হেরে যাওয়ার কাহিনি শোনাচ্ছে তারা। কারণ জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল ফল না করতে পারার হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। মৃ্ত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে যাতে জীবন যুদ্ধে ফিরতে পারে তাই এই প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন, রাজ নিজের স্ত্রীকে নয়, একজন অভিনেত্রীকে কাস্ট করেছে: শুভশ্রী
একে একে আন্নি এবং মায়ার এই জার্নিতে ফিরে আসে ডেরেক, সেক্সা, মাম্মি, বেওড়া এবং অ্যাসিড। তবে ছবিটা আপনাকে বেশ কয়েকবার থ্রি ইডিয়ডস-এর কথা মনে করাবে। আপাত দৃষ্টিতে ছবিটা একবার দেখতে ভাল লাগতে পারে। কিন্তু মুখ্য চরিত্রে সুশান্ত সিং রাজপুত ও শ্রদ্ধা কাপুরের অভিনয় বেশ ঢিলে।বৃদ্ধ বয়সে ছয় বন্ধুর মেকআপের জোর নেই। ম্যানারিজমে তো নেইই।
আরও পড়ুন, হিমেশের সঙ্গে হ্যাট্রিক, ‘আশিকি মে তেরি’-র রিমেক রানুর গলায়
গল্পটাও প্রথম দিকে বেশ ভাল চললেও একটা সময়ে এসে ছন্দ্ কাটে। বড্ড টানছে বলেও প্রতীত হতে পারে। আসলে ছিছোরে ছবিতে হস্টেল জীবনের কষ্ট-আনন্দ দেখানো হয়েছে। আনন্দদায়ক কেবল ওইটেই।কলেজ জীবনে ফিরে যাওয়া ব্যতীত আর কোন প্রাপ্তি নেই। নীতেশ তিওয়ারির থেকে আশা ছিল অনেকখানি।