মিঠুন চক্রবর্তী এখন খবরের শিরোনামে। তাঁকে নিয়ে যেমন রাজ্য-রাজনীতি সরগরম, তেমনই বিনোদুনিয়ার ময়দানেও দড়ি টানাটানি। দেবের হাত ধরে বিতর্ক পেরিয়ে মিঠুনের প্রজাপতি সুপারহিট। বক্সঅফিসে রেকর্ড ব্যবসা। বিরোধী শিবিরের দুই অভিনেতাকে একসঙ্গে দেখে কটাক্ষ-সমালোচনার অন্ত নেই। এসবের মাঝেই অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, যিনি কিনা রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কও, তিনিই সহকর্মী মিঠুনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা ভাগ করে নিলেন।
কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে সেইসময়ে চিরঞ্জিৎ একবার বলেছিলেন, "আপনি যদি আমাকে গালাগালি করেন, তাহলে আমার বিয়েতে আপনাকে নিমন্ত্রণ করব কেন? এখানেও ব্যপারটা সেরকমই।" মাঝখানে প্রজাপতি নন্দনে স্লট না পাওয়া নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বেশ চাপানোতর হয়। কুণাল ঘোষ মিঠুনকে ফ্লপ অভিনেতা বলায় গর্জে উঠেছিলেন দেব খোদ। এবার প্রজাপতি হিট হওয়ার পরই চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী মিঠুনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন।
<আরও পড়ুন: চঞ্চল চৌধুরি না মৃণাল সেন? ‘ধরতে পারবেন না..’, লুকেই ছক্কা হাঁকালেন সৃজিত>
কিফ মন্তব্য ভুলে গিয়ে একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে চিরঞ্জিৎ সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, "ছোলবেলা থেকেই মিঠুনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। ওর বাড়িতে কত রাত কাটিয়েছি। সম্প্রতি ওর ওখানে ছিলামও। উটি ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল ও। ও অসাধারণ মানুষ।"
এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি সিনেমার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেতার শিরোপা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর ঝুলিতে। সেই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিতের মন্তব্য, "সম্মান পাওয়া যে কোনও শিল্পীর কাছেই গর্বের। আর বিতর্ক আলাদা। অনেকেই বলছেন, আমি নাকি মিঠুনের বিরুদ্ধে কথা বলছি। লোকে যাই বলুক, ও আমার ভাল বন্ধু। প্রজাপতিও ভীষণ ভাল হয়েছে। মিঠুন ভাল অভিনয় করেছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে, কিন্তু বন্ধুত্ব বা অভিনয় নিয়ে কোনও মতভেদ নেই। আসলে রাজনীতির বিষয়টাই আলাদা।"