Chiranjeet Chakraborty reacts on 21 July: আসন্ন ২১শে জুলাই, অর্থাৎ শহিদ দিবস। রাজপথে আবারও লোক সমাগম বাড়বে সেদিন। বাংলার নানা এলাকা থেকে মানুষ আসবেন। সেদিন ২১-শে জুলাইয়ের প্রধান আকর্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। তাঁর বক্তৃতা শুনবেন বলেই মানুষ অপেক্ষায় থাকেন। এদিন সারাবছরের তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচীর নির্দেশ দেন দলনেত্রী। আগেও ২১-শে জুলাই পালন করা হত। তবে, শাসকদল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যেন এদিনের উচ্ছ্বাস এবং উন্মাদনা দারুণ বেড়েছে। কিন্তু, এইদিন বলতে তারকারা কী বোঝেন? বিশেষ করে যে তারকারা রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন তাঁরা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি কী বলছেন?
আগের ২১-শে জুলাই আর এখনের মধ্যে তফাৎ পান?
আমি আগে কোনওদিন যেতাম না। যেটুকু টিভি দেখে জানতে পারতাম। যখন তৃণমূল শুরু করল তখন আগে যেতাম। অত ভিড়ে যেতে ইচ্ছে করে না। একবার বৃষ্টি, একবার ঘাম- আমার যেতে ইচ্ছে করে না। বা বলা উচিত যা শরীরের অবস্থা আমার, সহ্য হবে না। অসুখ হয়ে যাবে। তারপর গাড়ি রাখতে হয় অনেক দূরে। এসব অনেক সমস্যা হয়। বাড়িতে বসে দেখি পুরোটা।
২১- জুলাই নিয়ে যে এত উন্মাদনা, বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মানুষের, কীভাবে দেখেন?
আমি জানি এই নিয়ে অনেক হাসি মজা চলে। কিন্তু, আসল হচ্ছে সাপোর্টটা। ভয়ঙ্কর ভিড়। কত লক্ষ মানুষ আসেন। কোনোদিন অন্য কোনও মিটিং-এ এটা হয় না। আর আগে যা ছিল, সেই তুলনায় আজকের পরিধি বিরাট। বিষয়টা কুম্ভমেলার মতো হয়ে গিয়েছে। সেটা একটা বিরাট ব্যাপার। মানুষ যে আসছেন এটা তো মজার বিষয় না। বিরোধী তো বিধানসভায় শূন্য।
গ্রামের সাপোর্টেই কি সরকার দাঁড়িয়ে থাকে? কারণ ২১-শে জুলাইয়ের বেশিরভাগ ভিড় হয় মফস্বল এবং শহর থেকে..
একা সরকার না। সিনেমাও দাঁড়িয়ে থাকে। এখন তো সিনেমার খারাপ অবস্থা। নানা হল এখন উঠে গিয়েছে। এই জন্যই তো এখন এই অবস্থা। আমরা বুঝি এটা। গ্রামে আমাদের সাংঘাতিক চাহিদা। একসময় আমাদের নিয়ে হইহই কাণ্ড হত। এখন ততটা নেই। আমি একদিন ফাংশানে গিয়ে বললাম, প্রজাপতি চলছে তোমরা দেখনি, ওরা জানেই না। ওরা অভিযোগ করে, আমি নাকি সিনেমা-কাজ করি না। আমি করছি কিন্তু। ওরা দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও পাবলিক ম্যাটার করে। সরকারের ক্ষেত্রেও ম্যাটার করে। পাবলিকের ধাক্কা বোঝা যায় এদিন!
লোকে যে ২১-শে জুলাইকে 'ডিম্ভাত দিবস' বলে, আপনার বক্তব্য?
আমি কীভাবে দেখি? আমি সেভাবেই দেখি যে যারা এগুলো করে তাঁদের একটাও সিট নেই। মানে, পাবলিক যারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে নিয়ে যায়, পার্লামেন্ট হোক বা বিধানসভা সেখানে একটাও সিট নেই। এবার যখন কেউ রসিকতা-মশকরা করছে, একটাই কথা, হয়তো হিংসায় করছে। তাঁদের কোনও কথা ধরাই উচিত না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওসব করা ছাড়া রাস্তা নেই।
আসন্ন বিধানসভা নিয়ে কোনও বক্তব্য?
আবার মমতা! নিঃসন্দেহে আবার মমতা।