দিন কয়েক আগের কথা। 'টাইগার থ্রি'র (Tiger 3) শুটিংয়ের জন্য রাশিয়া যাচ্ছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। কোনওরকম নথিপত্র না দেখিয়ে বুক চিতিয়ে এয়ারপোর্টে যখন ঢুকছিলেন, তখনই বলিউড সুপারস্টারকে পাকড়াও করেন বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষী। নথিপত্র দেখিয়ে তবেই ঢুকতে দেন। এদিকে ভাইজানের সঙ্গে জওয়ানের এহেন আচরণের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। সলমন নয়, বরং তাঁর পরিবর্তে নেটজনতাদের কাছে প্রকৃত হিরো হয়ে যান ওই নিরাপত্তারক্ষী। শোনা গিয়েছিল, সলমনকে বিমানবন্দরে আটকানোর অভিযোগে নাকি তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। আদৌ কি তাই?
Advertisment
আজ্ঞে না। ভুল তথ্য রটেছিল নেটদুনিয়ায়। CISF-এর তরফে কোনওরকম শাস্তি পাননি তিনি। বরং নিজের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সুপারস্টারকেও রেয়াত না করার জন্য সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স সেই নিরাপত্তীরক্ষীকে বিশেষভাবে অভিবাদন জানিয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ সম্মানও দিয়েছে। খোদ CISF-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে এই খবর।
টুইটে সাফ জানানো হয়েছে, "এয়ারপোর্টের দায়িত্বে থাকা ওই নিরাপত্তরক্ষীকে শাস্তি দেওয়ার খবর ভুয়ো। বরং তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, ভাইজান-ফ্যানরা সর্বত্র। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মেট্রো সিটি, সলমন খানকে (Salman Khan) কে না চেনেন? সকলের কাছেই তিনি ভাইজান। আর তাঁকেই কিনা মুম্বই বিমানবন্দরে নিরাপত্তীরক্ষীর বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল! হাজার হোক তিনি ভারতের সুপারস্টার। তাই আলাদা করে ভারতীয় হিসেবে তাঁর নিজের পরিচয়পত্র দেখানোর প্রয়োজন নেই, এমনটাই হয়তো ভেবে বসেছিলেন সলমন। কিন্তু রক্ষা পেলেন না সেই সময়ে বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে দায়িত্বে থাকা ওই নিরাপত্তারক্ষীর হাত থেকে। আচমকাই সলমনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পথ আটকে নির্দেশ দিয়েছিলেন- নিয়ম মেনে যথাযথ কাগজপত্র দেখিয়ে তারপর এয়ারপোর্টে প্রবেশ করতে। সেই সময়ে মুখে মাস্কও ছিল না সুপারস্টারের। সবমিলিয়ে এক বিশৃঙ্খল কাণ্ড!
সেই ভিডিও নেটদুনিয়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল হওয়ার পর রয়ে যায় ওই জওয়ানকে নাকি শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি। নেটজনতাদের মন্তব্য, “এই হল উর্দির আসল শক্তি। অত বড় সুপারস্টারকে দেখেও যিনি নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে যাননি।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন