লকডাউনের সবেমাত্র চতুর্থ দিন। নিজের পছন্দের বই থেকে সিরিয়াল, আজকের মতো সবটাই শেষ। এরপর? নেক্সট কী করবেন ভাবছেন তো? হাতের কাছে ইন্টারনেট থাকতে আর ভাবনার কী? এবার বরং দেখে ফেলুন পুরোনো কিছু ক্ল্যাসিক শো। একেবারে আদ্যন্ত ভারতীয়।
সারাভাই ভার্সেস সারাভাই
মজার এই সিরিজ বহুল জনপ্রিয় হয়েছিল। বিশের দশকের প্রথমদিকের সিরিজ সারাভাই। এখনও এই সিরিজের দেখা মেলে হটস্টারএ। দুটো সিজনে তৈরি হয়েছে এই সিরিজ, কিন্তু প্রথম সিরিজ অত্যন্ত বেশি ভাল।
ফৌজি
প্রথমেই ফৌজি। এখন চলছে আমাজন প্রাইমে৷ সর্ব সাকুল্যে ১৩টা এপিসোড৷ সেনাবাহিনীতে কিভাবে ট্রেনিং পর্ব চলে, কীভাবে বন্ধুত্বের বন্ধনে জড়িয়ে পরেন একে অপরে, কেমন জীবন কাটান তাঁরা, সবকটি বেশ নিখুঁতভাবে বোনা আছে সিরিজটিতে। এই সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান। প্রথম ডেবিউ! এরপর দেখতে পারেন
জবান সামাল কে
এখানে গল্প একজন ইঞ্জিনিয়ার মোহন ভারতী (পঙ্কজ কাপুর)-কে ঘিরে। কিছুটা বাধ্য হয়েই হিন্দি শিখতে হয় তাঁকে। এরপর ছাত্রদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনে যে হাস্যরস থাকে সিরিয়াল এগোতে থাকে সেভাবেই। লকডাউনের এমন একঘেয়ামি কাটাতে দেখে নিতেই পারেন এই সিরিয়ালটি।
এরপর বোরিং দিনে মাখতেই পারেন 'পাউডার'। পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত সিরিয়ালটি এই মুহুর্তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সোনি লাইভ এবং নেটফ্লিক্সে। অতুল সাভারওয়ালের লেখা এবং যশরাজ ফিল্মের এই সিরিজটিকে অনবদ্যের তালিকাতেই রাখা যেতে পারে। পাউডারের গল্প জমে ওঠে ড্রাগ বিক্রিকে কেন্দ্র করে। পুলিশ-মাফিয়া দলের পাণ্ডার লড়াই এই সিরিজে অন্যতম মোড়।
মাহি ওয়ে
একটা ছকভাঙা জীবনের গল্প বলে যেই মেয়ে তার নাম মাহি। যশরাজ ফিল্ম প্রোডাকশনের এই সিরিজটি যেকোনও মুড ভালো করে দিতে বাধ্য। এই যে হঠাৎ করে লকডাউন। যদি মাহি থাকতে কী করত সে? উত্তর পেতে অবশ্য সিরিজটি দেখতে হবে৷ ২৫ বছরের একটি মিষ্টি মেয়ের জাদু সেখানেই। দেখতে পাবেন নেটফ্লিক্সে।
দেখ ভাই দেখ
১৯৯৩ সালে জয়া বচ্চনের প্রোডাকশনের এই সিরিজটি হাস্যকৌতুকে ঠাসা। করোনার জেরে যে হাসি উবেছে, অসামান্য এই সিরিজটি দেখে হাসির ঝলক লাগল বলে। আগে এই সিরিজটি দুরদর্শনে দেখানো হলেও, এখন ভরসা ইউটিউব।
আরও পড়ুন, করোনা থিমে নিজের সংলাপের মিম বানালেন মিমি, লকডাউনে আসবে আরও
অফিস, অফিস
ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। অফিস তো বন্ধই৷ কিন্তু এই 'অফিস অফিস' কিন্তু খোলা আছে সোনি লাইভে। সরকারি অফিসের কাজ নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিকে আরও ঢেলে সাজাতে পারে এই সিরিজটি৷ কীভাবে সিঙারা খাইয়ে, সবজি কেটে ফাইল ক্লিয়ার করে সিরিজের মুখ্য চরিত্র, এই লকডাউনের বাজারে দেখে নেওয়াই যায়৷
তু তু ম্যায় ম্যায়
অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়ালদের মধ্যে একটা। সেই সময় দেখে উঠতে পারেননি৷ তাতে কী৷ এখন দেখে ফেলুন। শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কের এক মজার মিশেল। কেবল ঝগড়া নয়। ভালোলাগা এবং খুনসুটি মিলিয়ে এই ঘরবন্দী জীবনে মন্দ লাগবে না এই সিরিয়ালটি।
তারা
নব্বইয়ের দশকের এক ঝকঝকে সিরিয়াল এই তারা। গল্প শুরু চার শহুরে মহিলার জীবন দিয়ে৷ তাদের বন্ধুত্ব, সম্পর্ক, ভালোবাসা, সিক্রেট সবটাই মোড়ানো এই সিরিয়ালে৷ তবে মুখ্য চরিত্র তারা। পরবর্তীতে সে একজন বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়ে। যদিও তার মেয়ে এটা মেনে নিতে অস্বীকার করে। এরপর... দেখে নিন বাকিটা ইউটিউবে৷ আসলে তারাদের মতো সকলেই কিন্তু আমাদের পাশেই রয়েছে। তাই অপরিচিত মুখে পরিচিত চেহারা খুঁজে পেতে খারাপ লাগবে না। অজান্তেই হয়তো হেসে উঠবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন